সম্প্রতি বহুল আলোচিত গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা প্রতারনা করে আদায়কারী সেই বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধারা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদারের ৪টি গাড়ি, ৩০টি ব্যাংক হিসাব, ১০৮ খণ্ড জমি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন বাগেরহাটের সিনিয়ার স্পেশাল জজ আদালত।
ঘটনার বর্ণনায় উল্লেখ্য যে, এক লাখ টাকা জমা রাখলে মাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা লাভ- এমন প্রতারণার ফাঁদ পেতে ৪০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা আমনত সংগ্রহ করেছিলেন মান্নান তালুকদার। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়াই মান্নান তালুকদারসহ তার কয়েকজন সহযোগীর নামে ২০১৯ সালের ৩০ মে বাগেরহাট থানায় ১১০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলায় মান্নান তালুকদার এখন কারাগারে রয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই সম্পত্তির তালিকা করে জব্দ করার জন্য বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া। কিন্তু করোনার ছুটি ও লকডাউনে শুনানি বন্ধ ছিল। ফলে আদেশ দিতে দেরি হলো।
খুলনা দুদকের পিপি মিলন কুমার ব্যানার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৩১ আগস্ট শুনানি শুরু হয়। আজ সিনিয়র স্পেশাল জজ গাজী রহমান এই সম্পদ জব্দের আদেশ দেন। জব্দের তালিকায় রয়েছে, কোটি টাকা মূল্যের চারটি গাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকের ত্রিশটি হিসাবে থাকা ৬২ লাখ টাকা ও তার বাড়ি, বিল, কৃষি জমির ১০৮টি প্লট।