বাংলাদেশ প্রশ্নে একাত্তরের এদিন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ডক্টর সমর সেন।
এগুলো হলো- পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিতে হবে, উপমহাদেশে শান্তি স্থাপনে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করা হবে না।
পাশাপাশি বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে আত্মসমর্পন করলে পাকিস্তানি সেনারা জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী সব রকম সুবিধা পাবে- এমন ঘোষণা দেয় যৌথবাহিনী। কলকাতায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে আগাম অভিনন্দন জানান, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মোহাম্মদ রফি।
এদিন পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকার দিকে পালাবার কোন পথ তাদের আর নেই। নেই কারো সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমও।
এতকিছুর পরও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান ধর্য্যৈ ও পরিকল্পনা নিয়ে বাঙালীদের ওপর আঘাত
হানবে। এদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পটুয়াখালী থেকে বরিশালের
দিকে পালিয়ে যায় পাক সেনারা।