প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলাসহ নাশকতার ১০ মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
মির্জা ফখরুলের সাথেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীও।
কারামুক্ত হয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। ক্ষমতা দখল করেও সরকার পরাজিত হয়েছে।’
এর আগে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে কামিশপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি প্রচার সম্পাদক ও বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা–কর্মীরা হামলা চালায় হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্স ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। বিএনপি কর্মীদের হামলায় সেদিন একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন শতাধিক।
বিএনপি নেতা–কর্মীরা এক পর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপরও চড়াও হন। তাদের হামলায় ২০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়ি।
এ ঘটনার পরদিনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ২ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন আমির খসরু।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এই দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলার জামিনের আগে আরও ১০টি মামলায় তাঁদের জামিন হয়।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন সে সময় বলেছিলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা জামিন হয়ে যাওয়ায় এখন তাঁদের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।’