উত্তর আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই প্রাকৃতিক দুর্ঘটনায় এখনও শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধার অভিযানে বেশ কয়েকটি দল যোগ দিয়েছে।
শনিবার ১১ মে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর এই বন্যার সৃষ্টি। তবে শুক্রবার রাতে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাতের দুটি ঝড়ের ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিওতে দেখা যায়, বাঘলান প্রদেশের এই অঞ্চলটিতে কয়েকটি গ্রাম এবং বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরের উপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার বলে জানা গেছে। এছাড়াও সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছে।
গত মাসে আফগানিস্তানের পশ্চিমে বন্যায় কয়েক ডজন লোক মারা যাওয়ার পরে এবার উত্তরাঞ্চলে বন্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ এবং চারটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মূলত আকস্মিক বন্যা যখন ঘটে তখন এত বেশি বৃষ্টিপাত হয় যে, স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা সেটি মোকাবিলা করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ঠান্ডা মাটির জন্য বৃষ্টিপাত শোষণ করা আরও কঠিন করে তুলেছে।
আফগানিস্তানে প্রতি বছর মুষলধারে বৃষ্টি এবং বন্যায় বহু মানুষ মারা যায়। এছাড়া বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত ঘরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।