ঢাকাসোমবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আবা‌রো পেঁয়াজের বাজা‌রে অ‌স্থিরতা, ৩ দি‌নে কে‌জি‌তে বে‌ড়ে‌ছে ৩০ টাকা!

অনলাইন ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবরে দেশেও পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। হুট করে এমন দাম বাড়ায় বাড়তি পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছেন ক্রেতারা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি রেকর্ড ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে। এ কারণে ক্রেতারা বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কথাতে তেমন আভাসই পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু হয়। এরপর শনি ও রোববার দুই দিনেই খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রথম দফায় শুক্রবার কেজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ে ১০ টাকা। শনিবার বাড়ে ১৫ টাকা এবং রোববার কেজিতে আরও ৫ টাকা বাড়ে। তবে সোমবার নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।

ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০-৪৫ টাকা। যা শুক্রবার বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা হয়। শনিবার ও রোববার দাম বেড়ে তা এখন ৬৫-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি শুক্রবারের আগে ছিল ২৫-৩০ টাকার মধ্যে। এখন তা ৬০ টাকা হয়েছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রতি কেজি ৭০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দাম বাড়ার খবরে শনিবার ও রোববার পেঁয়াজ কেনার এক প্রকার হিড়িক পড়ে। দুই দিনে ১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এর আগে দুই দিনে এতো বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করিনি। তবে আজ বিক্রির পরিমাণ কম। আসলে যার যা মজুদ করার তা গত দুই দিনেই করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, হুট করে দাম বাড়ায় মানুষ ভয় পেয়েছে। কারণ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। আমরাই ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এবারও সেই সেপ্টেম্বরে খবর ছড়িয়েছে ভারতে বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে এবং দাম বেড়েছে। এ কারণেই হয়তো আবার যেন গত বছরের পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন।

খিলগাঁওয়ে বাছাই করা দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করা নূরু মিয়া বলেন, গত বছর যেভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু হয়েছিল এবারের লক্ষণও সেরকম। খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আবার পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।

রামপুরা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কেনা নাজমুল ইসলাম বলেন, গত বছর পেঁয়াজ নিয়ে কম কাণ্ড হয়নি। আড়াইশ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এবারও সেই পরিস্থিতি হবে কি না বলা মুশকিল। তাই অল্প কিছু পেঁয়াজ কিনে রাখছি।

অবশ্য কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন। রোববার তিনি বলেছেন, আমরা পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। গতবারের মতো এবার পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই। এবার আমরা খুব সতর্ক। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। আশা করি যেটুকু বেড়েছে দু-একদিনের মধ্যে সেটুকু কমে যাবে। টিসিবিসহ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।