আমরা আপনাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ পরে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো। সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে কক্সবাজারের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গী সিফাত-শিপ্রা ! তারা দু’জনই স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত। হত্যার পর পুলিশ সিনহারা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন সেখানে তল্লাশি চালায়। মদ ও গাঁজা রাখার অভিযোগে শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়। আর সিফাতের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে পুলিশ।
পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় দশদিন পর রোববার শিপ্রা এবং পরদিন সিফাতকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
এদিকে সিফাত ও শিপ্রা হতে পারেন সিনহা হত্যা মামলার মূল সাক্ষী। তদন্ত সংস্থা র্যাব মনে করছে, সিফাতের সামনেই যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাই এ মামলায় তার বক্তব্য আগে জানা দরকার। র্যাব বলছে, সিফাত ও শিপ্রার বক্তব্য জানার পর রিমান্ডে নিয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।