“আমি কোন দুর্নীতি করিনি, কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি হোক”~দুদক কার্যালয়ে জিঙ্গাসাবাদের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য যে, করোনাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা পৃথক চিঠির মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদসহ আরও চার কর্মকর্তাকে পাঠানো ‘অতীব জরুরি’ তলবি নোটিশে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
সে পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক ডিজি সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও চার জন কর্মকর্তা আজ সকাল ১০ টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির জন। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা জিঙ্গাসাবাদ করার পর সাবেক ডিজি দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে এসে লিখিত বক্তব্য উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি দাবি করেন, ‘কিছু দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবী বরেন। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত করতে দুদককে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান।
তিনি নিজেকে সৎ বলে দাবী করেন বলেন ‘”আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, আমি সৎ, দক্ষ ও সজ্জন হিসেবে কাজ করেছি। দুর্নীতি যেই করুক আমি তার শাস্তি চাই, দুদককে আমি সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাই আমি পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে “।
আগামীকাল বৃহস্পতিবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে জানা গেছে।