চলতি মাসের প্রথমদিকে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে চলা সংঘাত রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছিলো আর্মেনিয়া-আজারবাইজান।
কিন্তু সে যুদ্ধবিরতী লঙ্ঘন করে আজারবাইজানে আর্মেনিয়া সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) বার্দা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন, রাস্তাঘাট ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে হামলার কথা অস্বীকার করে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে একটি মাতৃসদনে পাল্টা হামলার অভিযোগ এনেছে আর্মেনিয়া। সম্প্রতি তৃতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে দু’দেশের বিরুদ্ধেই তা লঙ্ঘণের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, নিজ সীমান্তে রুশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের খবর নিশ্চিত করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তিনি বলেন, এটি তো বিশেষ কিছু নয়। রাশিয়ান বর্ডার গার্ড বাহিনী তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি রাশিয়ান বর্ডার গার্ড বাহিনী আর্মেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তেও এসেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও একে অপরকে দোষারোপ করে সেই বিরতি ভঙ্গ করেছে। চালিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ।
আর্মেনীয় অধ্যুষিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজ়ারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিবাদ দীর্ঘদিনের। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই অঞ্চলে নতুন আবারো যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইতোধ্যে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এর আগে ১৯৯৪ সালে অস্ত্রবিরতির আগে আজ়ারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই লড়াইয়ের পর থেকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার মদতে দখল করে নেয় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ২০১৬ সালেও ওই এলাকায় সংঘর্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছিলেন।