সামনের দিনগুলো খুব সুখকর হবে না। কারণ আমেরিকা যেভাবে ভিসানীতি চাপিয়ে দিচ্ছে, সামনে ইকোনমিক স্যাংশন দেওয়ার কথাও আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেদিন একথা বলেছেন। এর বিরুদ্ধে লড়াই যদি করে থাকি তাহলে আমরাই করেছি।
পার্লামেন্টে আমি কথা বলেছি, বিএনপি-জামায়াত রুখে আমেরিকা রুখো এগুলো আমরাই বলেছি। সুতারাং আওয়ামী লীগ এককভাবে কিছু করবে এটা মনে হয় না। কারণ তাদের দলের মধ্যেও এ ব্যাপারে তারা ঐক্যবদ্ধ নেই। সুতারাং জোট সঙ্গীদের তাদের অবশ্যই লাগবে। আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক তাদের লাগবেই।
জনগণকে যদি সঙ্গী বলেন, জনগণের অগ্রবর্তী অংশ আমরা। সে হিসেবে হলেও শরিকদের তাদের লাগবে।
জোট শরিকদের জন্য আসন খালি না রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা ঘোষণার প্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনতো বলেছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। কিন্তু বাইরে যা দেখছি সেটাতো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নয়। যেমন ধরেন, তফসিল ঘোষণার পরতো দলীয় প্রতীক নিয়ে কোনো প্রচারণা করা যায় না। কিন্তু এখনো হরদম স্লোগান হচ্ছে দলীয় প্রতীক নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়েতো অস্বস্তি আছেই। তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। সিইসি এমনিতেই সমালোচনার পাত্র হয়ে আছেন। এসব বিষয়ে ছাড় দিয়ে তিনি আরও সমালোচনার পাত্র হচ্ছেন।
নিজের আসনে অন্য প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আমাদের বলেছে আপনারা নমিনেশন সাবমিশন করেন। পরে কথা হবে। আমরা সাবমিশন করেছি। এখন তারা কিসের ভিত্তিতে প্রার্থী দিয়েছে জানি না। তবে তারা বলেছিল প্রয়োজনে তাদের প্রার্থী তুলে নিবে। এখন দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, লিখিত সিদ্ধান্ত হয়েছিল জোটগত নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী ইসিকে চিঠি দিয়েও জানিয়েছিল জোটগত নির্বাচন করা হবে। জোটগত নির্বাচন করতে হলে নমিনেশন উড্রো করতেই হবে। কিন্তু তারাতো অলরেডি স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী পর্যন্ত এলাও করেছে। অবশ্যই নমিনেশন উড্রো করতে হবে।
জোটের জন্য আসন খালি না রাখায় সংকট সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, কিছুটা সংকটতো তৈরি হবেই। একবার নমিনেশন জমা দিয়ে দিলে সেটা উঠানো কঠিন কাজ। অন্তত মাঠেতো তার কর্মীরা নেমে গেলে অসুবিধা হয়। তবে আওয়ামী লীগ নেত্রীতো মনে করেন তিনি যা বলবেন নেতারা তা শুনবেন। সেটা হলেতো ভালো কথা। ‘উই আর ওয়েটিং ফর দ্যাট’।
জোটগত নির্বাচন না হলে চ্যালেঞ্জ বাড়লেও প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।