১. Image
এই ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু হলো বিমান দুর্ঘটনার আগে মানুষের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার মুহুর্তগুলির রেকর্ডিং। যাত্রীদের চিৎকার এবং প্লেন ক্রাশ হওয়ার শব্দ এসবই এখানে এমপিথ্রি ফরমেটে রেকর্ডিং করা রয়েছে। সেসময়কার ছবির গ্যালারী এখানে পাবেন। বলতে গেলে দুর্বলচিত্তের মানুষের জন্য ভয়ংকর জিনিস।
২.স্কাইওয়ে ব্রীজ জাম্পারস www.skywaybridge.com
ফ্লোরিডার সানশাইন স্কাইওয়ে ব্রিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম সেতু যেখান থেকে লাফিয়ে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করা হয়। এই ওয়েবসাইটটির কাজ হলো প্রতিবছর স্কাইওয়ে ব্রিজ থেকে কত লোক আত্মহত্যা করেছে তা গণনা করা । এই ওয়েবসাইটটি সক্রিয়ভাবে এখান হতে আত্মঘাতীদের তথ্য সংরক্ষণ করে ।
৩.অপরাধীদের শেষ বাক্য (Death Row Information):
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তের কথোপকথন শুনতে চাইলে এ ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন। এখানে শুধু কেবল বিখ্যাত কয়েদিদের নয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির কথাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং নিয়মিত আপডেট করা হয়। যাদের হৃদপিন্ড দুর্বল তাদের জন্য অসহনীয়ই বটে।
৪.রেড রুম: ইন্টারনেটে আতঙ্কিত হওয়ার মত যত ওয়েবসাইট আছে তাদের মধ্যে, রেড রুম প্রথম স্থানে। ওয়েবসাইটটি মূলতঃ ডার্ক ওয়েবের। এখানে মূলত প্রাণী বা মানুষ (বেশিরভাগক্ষেত্রে মানুষ) কে শারীরিক বা মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়। এগুলো আবার লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। এমনকি ক্লিপগুলি বিক্রয়ও করা হয়। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো দর্শকরা সাইটের রুমগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। সাইটে চ্যাট বাক্স রয়েছে এবং সেখানে দর্শকরা ভিকটিমকে নিজেদের মনমত নিপীড়ন করার জন্য কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত খরচ করে।
ধরুন আপনি ভিকটিমের একটি আঙুল কেটে ফেলার জন্য অনুরোধ করতে পারেন (আমি উদাহরণ দিচ্ছি, এমন করবেন না এমনটাই আশা করি), বিটকয়েন প্রেরণ করুন এবং আপনার অনুরোধটি বাস্তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখানো হবে। তবে আপনাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই এডভান্স পেমেন্ট করতে হবে। যদিও দাবি করা হয়, এসব ওয়েবসাইটের ৯০% ই নকল। তবে এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে ইউআরএলটি জানতে হবে, বা কোনও ওয়েবসাইটের সদস্যের মাধ্যমে “আমন্ত্রণ” পেতে হবে। সম্ভবত এই কারণেই বেশিরভাগ লোকেরা ওয়েবসাইটটির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না।
৫. সেন্টিমেন্টাল কর্পস: (Sentimental Corporation) ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে আমার লেখা পড়ে আপনার কাছে মনে হতে পারে এখানে ভয়ঙ্কর কিছু নেই। একজন লোক তার স্ত্রী বা বান্ধবীকে নিয়ে সম্ভবত তার সামনে একটি টেলিভিশন নিয়ে বসে আছে যার উপর “কিছুই না” লেখা রয়েছে। কিছু অদ্ভুত এবং “ভুতুড়ে” চিত্র ভেসে ওঠে আবার চলে যায়, এবং কয়েক মিনিট পরেই আপনার গা শিউরে উঠবে এবং আপনি নিজেকে পাগল ভাবছেন কিনা তা বুঝার জন্য আপনাকে চিমটি ও কাটা লাগতে পারে।
৬..মৃত বাচ্চাদের ছবি নিয়ে ওয়েবসাইট
(Cherish your loved one with a memorial site) এটি মূলত একটি ওয়েবসাইট যেখানে মায়েরা বা আত্মীয়রা তাদের মৃত বাচ্চাদের ফটো পোস্ট করে। ফটোগুলি কেবল “মৃত” নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলি দেখতে ভয়ংকর। ওয়েবসাইটের সাইডবারে এমন একটি “ডিজিটাল মোমবাতি” রয়েছে যা লোকেরা তাদের জন্য স্মৃতি স্মরণ করে এবং তাদের শোকবার্তা লিখে রাখে।
ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইটই আছে। লিখতে লিখতে উত্তর আরো বড় হবে। শেষ করি মজার কিন্তু বিশ্রী একটি ওয়েবসাইটের গল্প বলে-
৭.Rate My Poo: নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু কেমন হতে পারে। এই ওয়েবসাইট সারাবিশ্বের লোকদের আপনার বর্জ্য পদার্থের রেটিংসের মহান (!) দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে। তেমনি আপনিও অন্যান্য মানুষের ক্ষেত্রে চাইলে এই মহৎ কর্মটি সারতে পারেন । আপনার *** আপনাকে কী বলার চেষ্টা করছে তাও আপনি এখান জানতে পারবেন!
এমন আরো অনেক ভয়ংকর ও ব্যাতিক্রম ওয়েবসাইট ইন্টারনেট দুনিয়া জুড়ে ভরপুর। তাই বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তির উত্তরোত্তর বিকাশ হচ্ছে তা ভালো কিংবা মন্দে, আপনি কোনটির প্রতি আকৃষ্ট হবেন তা আপনার অভিরুচি।