ইরানের প্রবীণ অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে বোমা নিক্ষেপ ও পরবর্তীতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ হামলার পেছনে ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার শিকার হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মোহসেন ফাখরিজাদেহ। মোহসেন ফাখরিজাদেহ ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিষয়ক সংস্থার প্রধান ছিলেন।
পশ্চিমা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। ইরান নতুন করে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরুর পর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বাড়িয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে এ হামলার ঘটনা ঘটলো।২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশটির চারজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্যও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি বক্তৃতার সময় মি. ফখিরাযাদের নাম বিশেষভাবে উল্লখ করে বলেছিলেন তিনিই ইরানের গোপন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: “মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফখরিযাদেকে নিয়ে যে গাড়িটি যাচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়।
“তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এরপর সংঘর্ষ হয়। এতে মি. ফখরিযাদে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
“চিকিৎসা কর্মীরা তাকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা ব্যর্থ হন এবং তিনি মারা গেছেন।”