আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ উদ্যোগ প্রচার ও সম্প্রসারণসহ ৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা সহ মোট ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য খরচ ধরা হয়েছে।
বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আজকের বৈঠকে অনুমোদিত ৫ প্রকল্পের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিপিডিসি’র আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রকল্প। ডিপিডিসির অধীনের এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩৬৯ কোটি ২ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮২ কোটি ৬০ লাখ আর বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্পটিতে ব্যয় করা হবে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে।
৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষের অধীনে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের পুরো টাকাই সরকার যোগান দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয় আজকের বৈঠকে।
৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে
মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ প্রকল্পের জন্যও পুরো অর্থায়ন সরকার করবে।
২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে (সংশোধিত প্রকল্প) বাস্তবায়ন করা হবে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (তৃতীয় পর্যায়)। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২ বছর মেয়াদ বাড়ানো এ প্রকল্পের পুরো অর্থায়ন করবে সরকার।
৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত)। প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।