চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে আরও ১৪টি। মোট ৫৫ জন ওয়ার্ড সচিবকে রদবদল করার আদেশ দেয়া হলো।
চসিকের ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব চসিকের ৩ কর্মকর্তা নেবার পর এবার রদবদল করা হলো সকল ওয়ার্ডের সচিবদের। এই রদবদলের ফলে প্রত্যেক ওয়ার্ড সচিব তার বর্তমান কর্মস্থলের বদলে নতুন ওয়ার্ডে যোগ দেবেন।
ওয়ার্ড সচিবদের এই রদবদলের বিষয়ে সোমবার, ১৭ আগস্ট একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে বলে দৈনিক অপরাজিত বাংলাকে জানান চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা। চসিকের একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই আদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পাশাপাশি ওয়ার্ডের সচিবদের মধ্যে রদবদল করা হচ্ছে, য়েমনঃ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব দায়িত্ব নিবেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। অর্থাৎ, এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এখন কোন সচিবই তাদের পূর্ববর্তী ওয়ার্ডে থাকতে পারবেন না।
নতুন এই আদেশ নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন এতে নাগরিক ভোগান্তি বাড়ার সম্ভবনা থাকতে পারে আবার অন্যদিকে এই আদেশে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে করেন না। তবে নাগরিক ভোগান্তি হবে এই বক্তব্যের সাথে একমত নন চসিকের প্রধান নির্বাহী মোঃ সামসুদ্দোহা। তিনি দৈনিক অপরাজিত বাংলাকে বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতার কথা কেন আসছে? এখানে সবাই তো অভিজ্ঞ। শুধু কাজের ক্ষেত্র বদল হয়েছে। তাছাড়া যেসব সমস্যা হতে পারে বলে বলছেন, আমাদের এরকমটা মনে হয় না।’’
এর আগে ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছিল চসিকের ৩ সিনিয়র কর্মকর্তার মধ্যে। ৪১ জনের দায়িত্ব ৩ জন কিভাবে পালন করবে সেটি নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠলে চসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সব কিছুই দেখভাল করবেন ওয়ার্ড সচিবরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের সাথে সমন্বয় করবেন।
হঠাৎ করে এই রদবদলে ওয়ার্ড সচিবরা নতুন কর্মস্থলে গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নতুন করে।
চসিকের সাবেক একজন কাউন্সিলর বলেন, ‘এটা বেশ কঠিন একটা কাজ হবে। যেহেতু তারা অনেকদিন ধরে একটা এলাকায় কাজ করছিলেন, সেহেতু ওসব এলাকায় তাদের যে জানাশোনা আর অভিজ্ঞতা তা কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া যেত। এখন এই রদবদলের ফলে সেই পথটাও বন্ধ হলো। নিশ্চিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।’ অপরদিকে অনেকে মনে করছেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের নাগরিক সেবা একই। চাকুরি সেবাদান ক্ষেত্রে কেউ বদলি হয়ে অন্যত্রে গিয়ে দায়িত্ব নিলে খুব বেশী সমস্যা হবার কথা না, হয়তো সাময়িক সমস্যা হবে কিন্তু তা বেশীদিন স্থায়ী হবে না।
এদিকে নাগরিক সেবা আরও কার্যকর ও ফলপ্রসু করতে চসিক কার্যালয়ে প্রশাসক জনাব খোরশেদ আলম সুজন গনমাধ্যমের কাছে বলেন, “আমার ফেসবুক পেইজ, ফোন নং, হোয়াইটসআপ খোলা নগরবাসীর জন্য, সবাই যার যার সমস্যা জানান, পরদিনই সে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্”।