রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। জানা গেছে, এবার কপাল পুড়ছে চলতি সংসদের কয়েকজন এমপির। তিনশ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর আগামীকাল শনিবার তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। মূলতবি বৈঠক আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। সকালে খুলনা ও বরিশাল এবং বিকেল ৪টা থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই ছয় বিভাগে ২২৮টি আসন রয়েছে।
প্রথম দিনের বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডে রংপুর বিভাগে ৩৩টি এবং রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবারের মধ্যে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর একসঙ্গে তিনশ আসনের সকল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বর্তমান এমপিদের মধ্যে কতজন বাদ পড়েছেন– জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয়েকজন বাদ পড়েছেন। আর প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রার্থী মনোনয়নের বেলায় তরুণরাও গুরুত্ব পাচ্ছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাদের ব্যাপারে দলের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখা যাক কারা বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের বেলায় কঠোরভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তারা সাংবাদিক ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এড়িয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন এমপি ও মনোনয়নপ্রত্যাশী জানান, মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা মুখ খুলছেন না। এমনকি ফোনেও কথা বলছেন না। কেউ কেউ ফোন বন্ধ রেখেছেন। কেউ কেউ ফোন রিসিভ করলেও দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
এ অবস্থায় দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বেশির ভাগ এমপি আবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমান এমপিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন বাদ পড়েছেন। তাদের বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। অজনপ্রিয়, অদক্ষ, অযোগ্য ও নানা কারণে বিতর্কিত হওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুনদের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছেন অপেক্ষাকৃত তরুণরা।
এদিকে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনেই নানা ধরনের গুজব-গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে দলের মনোনয়ন পাওয়ার তথ্য জানানো হচ্ছে। এক আসনে একাধিক ব্যক্তির পক্ষে মনোনয়ন পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে প্রতিটি আসনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোনো কোনো আসনে পছন্দের মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন পেয়েছেন বলে মিষ্টি বিতরণের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শেষ হওয়ার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মনোনয়ন নিয়ে অল্প-বিস্তর কথা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গেও কথা হয়েছে সমকালের। এ ছাড়াও বর্তমান এমপিদের মধ্যে কয়েকজন ও কয়েকটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরাও কয়েকটি আসনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের নাম মোটামুটি নিশ্চিত করেছেন। তবে চূড়ান্ত তালিকা করার সময় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা কোনো কোনো আসনের দলীয় প্রার্থী রদবদল করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, পঞ্চগড়-১ আসনে আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড়-২ আসনে অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দবিরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ইমদাদুল হক, দিনাজপুর-১ আসনে মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম বাবু, দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ আসনে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মোখছেদুল মোমিন, লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ নূরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-২ আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশি, রংপুর-৫ আসনে রাশেক রহমান, রংপুর-৬ আসনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-১ আসনে রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে এম এ মতিন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেন, গাইবান্ধা-১ আফরোজা বারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ আসনে অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান রিপন, জয়পুরহাট-২ আসনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, নওগাঁ-১ আসনে সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনে শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৪ আসনে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ আসনে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম, নাটোর-১ আসনে শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহ্মেদ পলক, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ডা. আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আবদুল মমিন মণ্ডল, পাবনা-১ আসনে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনে নুরুজ্জামান বিশ্বাস এবং পাবনা-৫ আসনে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের
সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটগত নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। তবে আমরা আশ্বস্ত করছি, দেশের মানুষ এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। যে কারণে সারাদেশে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ দৃশ্যমান। নির্বাচনে জোট হতে পারে বিভিন্নভাবে। কার সঙ্গে কার জোট হবে কিংবা শেষ পর্যন্ত জোটের বিষয়টি কোথায় গিয়ে ঠেকবে– সেটা বলা মুশকিল। তবে এমন অনেকেই আসতে পারে, যা আপনারা ভাবছেন না কিংবা আমিও ভাবছি না।
জোট চূড়ান্ত না হলেও জোটের জন্য আসন রেখে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কারও জন্য কিছু রাখিনি। আমাদেরটা নিয়েই অগ্রসর হচ্ছি। আমরা সব আসনেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি।
এর আগে গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের কার্যক্রম চলেছে। চার দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা পড়ে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরাসরি ৩ হাজার ২৪১ জন এবং বাকি ১২১ জন অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ফরম বিক্রি বাবদ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বগুড়ায় গুঞ্জন ছড়ালেও প্রার্থীরাই নিশ্চিত নন
বগুড়ার সাত আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাতজনের নাম ছড়িয়েছে। তবে যাদের নামে গুঞ্জন তারাই নিশ্চিত নন, আদৌ দলের মনোনয়ন পেয়েছেন কিনা। এই সাতজন হচ্ছেন– বগুড়া-১ আসনে বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-২ আসনে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ আসনে নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি, বগুড়া-৪ আসনে আহছানুল হক, বগুড়া-৫ আসনে বর্তমান এমপি হাবিবর রহমান, বগুড়া-৬ আসনে বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এবং বগুড়া-৭ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
এ প্রসঙ্গে রাগেবুল আহসান রিপু বলেছেন, তিনি আশাবাদী হলেও মনোনয়ন পেয়েছেন কিনা, শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। সাহাদারা মান্নান বলেন, কেন্দ্র থেকে কোনো সিগন্যাল পাননি তিনি। বগুড়া-৫ আসনের এমপি হাবিবর রহমানের ছেলে আসিফ ইকবাল সনি বলেন, তাঁর বাবা আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন। এরপরও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলতে পারছেন না।
লালমনিরহাটে মুখে মুখে তিন নাম
লালমনিরহাটের তিনটি আসনেই চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের নাম এসব প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত লালমনিরহাট জেলার নেতাদের মাধ্যমে এসব নাম জানা গেছে বলে তাদের দাবি। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে নিজ নিজ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন অনেকেই।
মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া তিনজন হচ্ছেন– লালমনিরহাট-১ আসনে বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্বা মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে বর্তমান এমপি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ এবং লালমনিরহাট-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক জানান, ঢাকায় অন্য নেতাদের সঙ্গে থাকা অবস্থায়ই জেলার তিন আসনের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম শুনেছেন। তবে দলীয়ভাবে নাম প্রকাশের আগে নিশ্চিত করে বলা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
পাবনায় আলোচনায় কয়েকটি নাম
পাবনার পাঁচটি আসনের মধ্যে পাবনা-১ এ বর্তমান এমপি ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলে দাবি করা হচ্ছে। বাকি চার আসনে একাধিক নেতার নাম আলোচনায় থাকলেও কোনোটাই নিশ্চিত নন কেউ। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, একেক সময় একেক জনের নাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা শুনছি। তাই নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
সিরাজগঞ্জে চাউর নৌকার মাঝিদের নাম
সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মাঝি হিসেবে ছয় নেতার নাম চাউর হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ আসনের বর্তমান এমপিরা মনোনয়ন পেলেও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান এমপি অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতাকে বাদ দিয়ে তাঁর ভাই সাবেক এমপি চয়ন ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে চয়ন ইসলাম বলেন, অপেক্ষা সব সময়ই উদ্বেগের। শেষ পর্যন্ত ভালো হলেই ভালো।