কলাপাড়ায় বৃষ্টির
পানি অপসারন করার জন্য বন্যা জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রন বাধেঁর কার্পেটিং সড়ক
কেটে পাইপ বসানো হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নের মঞ্জুপাড়া গ্রামে এ কার্পেটিং
সড়কটি রাতের আধাঁরে বেকু দিয়ে কেটে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দা মো:
শাহবুদ্দিন। বুধবার সকালে নিজ উদ্যোগে সড়কের ওই কাটা অংশে মাটি দিয়ে ভরাট
করা হয়েছে। এসময় যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। খবর শুনে পানি
উন্নয়ন বোর্ডের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝড় জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষার জন্য পানি
উন্নয়ন বোর্ড উপকূলীয় এ এলাকায় বেরী বাধঁটি নির্মান করে। পরে স্থানীয়
লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে এ বাধঁটির উপর কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু গত
সোমবার গভীর রাতে পানি অপসারন করার জন্য ব্যাক্তি উদ্যোগে বেকু দিয়ে
প্রায় ২০ ফুট বেরী বাধঁটি কেটে পাইপ বসানো হয়। এর ফলে পায়রা বন্দরে জমি
অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য লালুয়ায় আবাসন নির্মান প্রকল্পে
বালু ভর্তি ট্রলিসহ পন্য সামগ্রী যানবাহ চলাচলে ঝুঁকি পূর্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজান গাজী বলেন, রাস্তাটি কাটার ফলে তাদের চলাচলে
দারুন ভোগান্তি হয়। এছাড়া যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল যাওয়ার সময় যাত্রীদের
নামিয়ে এ পথ দিয়ে যেতে হচ্ছে। ট্রলী ড্রাইভার ইউসুব হাওরাদার বলেন,
রাস্তাটি কাটার ফলে আমাদের গাড়ী নিয়ে এখান থেকে যেতে সমস্য হচ্ছে। কারন
বালু বোঝাই থাকে ট্রলী। যে কোন সময় উল্টে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও
কি আর করার আছে ঝুকি নিয়ে যেতে হচ্ছে।
লালুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো. আব্বাস গাজী বলেন,
বৃষ্টির পানি অপসারন করার জন্য মো.শাহবুদ্দিন সোমবার গভীর রাতে এ বাধঁটি
কেটে ফেলে। এতে যানবাহ চলাচলে ব্যাহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তার বাড়ি
গিয়ে বিষয়টি বলে। পরবর্তীতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, চেয়াম্যান ও পানি
উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন। ওয়ার্ড সধারন সম্পাদক মো.শাহিন তালুকদার
বলেন, এমনিতেই লালুয়া ইউনিয়ন দূর্যোগ কবলীত এলাকা। এ বাঁধ অত্যান্ত
গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া এ সড়কটি দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। কাউকে না
জানিয়ে বাধেঁর কার্পেটিং সড়ক কেটে পাইপ বসিয়েছে, এটি সে অন্যায় করেছে।
অভিযুক্ত মো: শাহাবুদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানিতে বাড়ি ঘর,পুকুর তলিয়ে যায়।
কোন উপায় না পেয়ে পানি অপসারনের জন্য বেকু দিয়ে কেটে পাইপ বসিয়েছি। নিজ
উদ্যোগে রাস্তা করে দেব। তবে কাউকে না বলে কাটাটা অন্যায় হয়েছে বলে তিনি
জানান।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন,
ঘটনাস্থনে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদার পাঠিয়েছিলাম। এছাড়া এ বিষয়টি
সাথে সাথেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল হক বলেন, খবরটি শুনে
দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হয়েছে।