জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের গুলিতে ৫ সেনা নিহতের খবরও পাওয়া গেছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা এই হামলা করেছে। এবার জানা গেল, লাদাখ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জন্যই পাকিস্তান ও চীন মিলে কাশ্মীরে এই সহিংস হামলা চালিয়েছে।
কয়েকটি সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে এই হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে এই এলাকায় আবারও অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় ইসলামাবাদ ও বেইজিং। আর এভাবে ভারতীয় এই সীমান্তে হট্টগোল তৈরি করতে পারলে ভারত লাদাখ থেকে সেনা কমিয়ে নিতে পারে— এই ভাবনা থেকেই সহিংসতা।
সূত্র বলছে, কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকার জঙ্গলে এরই মধ্যে অন্তত ৩০ সন্ত্রাসীকে পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাদের দেখলেই যেন হামলা চালানো হয়— এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারত। লাদাখে সেনা বাড়ানোর কারণে চীন তেমন খুশি হওয়ার কথা না। তখন থেকেই লাদাখের এসব সেনাদের ভারত সরকার যাতে কাশ্মীর নিয়ে যায়, সেই চেষ্টা করছিল বেইজিং।
এবার এতে পাকিস্তান সহায়তা করছে বলেই অভিযোগ ভারতের। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রীয় রাইফেলস নামক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে। ২০২০ সালের ঘটনার পর এই বাহিনীর সেনাদের পুঞ্চ থেকে সরিয়ে লাদাখ নিয়ে যাওয়া হয়, যেটি চীনের জন্য মাথ্যাব্যথার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনোজ কুমার বলেন, পুঞ্চ–রাজৌরিতে বর্তমান পরিস্থিতি ২০০৩ সালের অপারেশন সার্প বিনাশের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময়ও সন্ত্রাসীরা এভাবে হামলা করেছিল। ওই সময় সেখানে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। মারা যায় ৬৫ সন্ত্রাসী।
এবার পুঞ্চে সংঘাতের পর এরই মধ্যে সেখানে বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এরই মধ্যে ২০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি করেছে ভারত। এ ছাড়া চীন ও পাকিস্তানের বিষয়ও মাথায় রেখেছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এমন কথাই বলেছেন বাহিনীর সাবেক প্রথম সারির কর্মকর্তা অজয় কোতিয়াল।