নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষ চলাকালে আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর জিসান ও নিহাদ নামের ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের জাল দিয়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে সোমবার বিকালে বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায় মিহাদ ও জিসান। পরে এ গ্যাংয়ের ধাওয়া খেয়ে ইস্পাহানী ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় তারা। তারপর হতে তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহত নিহাদ বন্দরের কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ও বন্দর খান বাড়ির নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে। জিসান বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র এবং বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
মিহাদের খালাতো ভাই তানভীর জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় বিকেলে স্থানীয় দুই গ্রম্নপ কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় একপক্ষের ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় মিহাদ। রাতে বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে জানতে পারে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনায় মিহাদ নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর ইস্পাহানি এলাকায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শামীম ও শাকিল নামে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘাটের একটি নৌকায় ওঠে জিসান ও নিহাদ। কিশোর গ্রুপের একটি দল ওই নৌকাতে উঠলে ধাওয়া করে বিপক্ষ গ্রুপটিও নৌকাতে ওঠে। পরে নদীতে ঝাঁপ দেয় কিশোর দল। তাদের দেখাদেখি পানিতে ঝাঁপ দেয় মিহাদ ও জিসানও। অন্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নিখোঁজ হয় মিহাদ ও জিসান।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে ।