বাংলাদেশের বিভিন্ন নামি দামি হোটেলের ফ্রিজ থেকে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয়েছে মরা মুরগী, পঁচা গরুর মাংস। প্রায় হোটেলে মরা মুরগী রান্না করে বিক্রি করার অপরাধে একাধিকবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে বহু হোটেল মালিক। কিন্তু মরা মুরগীর মাংস খাওয়ানোর তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এবার কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার পাগলা বাজার এলাকায়।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শনিবার(২৯ আগষ্ট) রাতে পাগলা এলাকায় হোটেলে সরবরাহের সময় ৫০কেজি কুকুরের মাংসসহ আরিফ(২৮) ও রাব্বি (১৬) নামক দুই মাংস সরবরাহকারীকে আটক করেছে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতারা। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই আশরাফুলের হাতে সোপর্দ করলেও তিনি মুচলেকা রেখে কুকুরের মাংস বিক্রেতাকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়,পাগলা বাজারের বিভিন্ন হোটেলে কুকুরের মাংস সরবরাহ করে আসছিল জরাইন এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে পাচটি পলিথিনে ৫০ কেজি করে কুকুরের মাংস বস্তায় ভরে বাজারে নিয়ে আসার পথে আটক করে বাজার সমিতির লোকজন। পরে তাকে জিজ্ঞেস করলে এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে এগুলো কুকুরের মাংস এবং এগুলো পাগলা বাজারের বিরিয়ানির হোটেলসহ রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে আসছে।
পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আশরাফুল তাকে আটক করলেও পরবর্তীতে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় এবং মাংসগুলো পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন হোটেলে এ মাংস ব্যবহার করে তার তথ্য বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দরকার ছিল।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।