যশোরে কেশবপুর উপজেলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাড়ী মধুপল্লী আবারো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মধুপল্লী সাগরদাড়ী।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারির কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মধুপল্লী। ফলে দর্শনার্থী শূন্য হয়ে পড়ে মধুপল্লী ফলে সরকার পর্যটন শিল্পের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।
করোনার ধাক্কা সামলে দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতিমন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সকল দর্শনীয় স্থান সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও নিয়মনীতি মেনে চলার সাপেক্ষে উম্মুক্ত করে দেওয়ায় যশোরের কেশবপুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাড়ী মধুপল্লী আবারো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন দূর-দূরন্ত থেকে দেশ বিদেশের শত শত পর্যটক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভুমি এক নজর দেখতে ছুটে আসছে।
দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকার পর ভ্রমণ পিপাসুরা ঘরের বাইরে এসে স্বস্তির দম ফেলতে পেরে মহা খুশি। এমনি এক দর্শনার্থী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাড়ী মধুপল্লীর রূপে তিনি মুগ্ধ।
কপোতাক্ষ নদ,বাদামতলা ঘাট, মধুসূদন মিউজিয়াম, মধুসূদন পাঠাগার, পাউবোর নির্মিত পার্ক পিকনিক স্পট সব কিছুই ভালো লেগেছে।কর্মব্যস্ততার ফাকে একটু সময় পেলেই তিনি স্বপরিবারে এখানে আবারো ঘুরতে আসবেন।
মধুপল্লীর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অনেক দিন যাবত লকডাউনে থাকা মধুপল্লীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। বাধ্যতামুলক মাস্ক ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে মধুপল্লী উম্মুক্ত করা হয়েছে।
দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার, সাবান পানি ও ব্যাসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে ধীরে ধীরে দর্শনার্থীদের আগমন বাড়ছে।