গতকাল ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভারান ঘোষণা করেছেন, ফ্রান্স মার্সেইলে বার ও রেস্তোঁরা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেবে এবং প্যারিস সহ অন্যান্য শহরে রাত ১০ টা পর্যন্ত বার ও রেস্তোঁরা খোলার রাখা যাবে ,সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে! সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি রোধের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভারান বুধবার ঘোষণা করেছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরন করোনা আগ্রাসন থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরমধ্যে অন্যতম হলো সতর্কতা অঞ্চল অর্থাৎ প্যারিস এবং এর অভ্যন্তরীণ শহরতলির, লিওন , লিল, মনপেল্লির, বোর্দো, গ্রেনোবল, রেঁনে , রোয়েন, সেন্ট-এতিয়েন, তুলুস এবং নিস এর মত বড় বড় শহর গুলিতে সোমবার থেকে ১০০০ জনের বেশি কোনো ধরণের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ। যে সমস্ত ইভেন্টের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে, সব নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান সহ যেকোনো উৎসবে ৩০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। সর্বসাধারণের চলাচলের স্থানে ১০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। রাত ১০ টার মধ্যে বার বন্ধ করে দিতে হবে। স্পোর্টস হল, জিম, পার্টি ঘর এবং বহুমুখী কক্ষ বন্ধ থাকবে। এইসমস্ত পদক্ষেপগুলি ঘোষণার সাথে সাথে বার, রেস্টুরেন্ট, জিমনেসিয়াম গুলির মালিকরা ক্রোধে ফেটে পরে।
বেশ কিছু মালিকের প্রশ্ন “ভাইরাস কি রাত ১০ টার পর আক্রমণ করে ?” প্যারিসের অনেক বার রেস্টুরেন্ট ভোর ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক সপ্তাহে আরো কিছু শ্রমিক বেকার ভাতায় যাবে। বেশ কিছু মালিক যে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিবেন তা নিশ্চিত।প্যারিস খালি হয়ে যাবে। প্যারিসের বাসিন্দারা সব গ্রামে চলে যাবে। তবে অনেকে এই সমস্ত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এতে যদি সম্পূর্ণ লোক-ডাউন থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় তাতে মন্দ কি।
তবে প্যারিসের অনেক বাসিন্দা বলেন স্বাস্থ্যবিধী মেনে যদি থিয়েটার এবং সিনেমা হল খোলা রাখা যায় তবে বার ও রেস্তোঁরা জিমনেসিয়াম “খোলা রাখা যাবেনা কেন ?