“মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম” নামে নতুন একটি রোগ যুক্ত হলো করোনাভাইরাসের সাথে। ঘাতক এ রোগ হৃদযন্ত্র, কিডনিসহ অন্যান্য অর্গান নষ্ট করে দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে জ্বর থেকে শুরু হয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রোগের বিস্তার ঘটতে পারে মানব দেহে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে আশঙ্কার কথা জানালেন যে, এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ারে সম্ভবনা শিশু-কিশোর বয়সীদের। এ পর্যন্ত এ রোগে চিকিৎসার আওতায় এসেছে, বাংলাদেশে এমন রোগীর সংখ্যা এখন ১৫ জন। জ্বর, পেটে, ব্যথা ও বমি আর বয়স যদি হয় ১৫ এর মধ্যে তাহলে প্রাথমিক ধারণা হতে পারে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম।
এ ব্যাপারে এভারকেয়ার হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন জানান, উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকে বাচ্চাদের এবং সেটা ১০১ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তিন থেকে পাঁচ দিনেই জ্বরের সাথে সাথেই হতে পারে অথবা ধাপে ধাপে কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন; সারা গায়ে লাল লাল দানার মতো অথবা বক্তের মতো দাগ থাকতে পারে। এছাড়া সারা শরীরে লাগচে দাগ থাকা। কোভিড-১৯ এর ফলে সারা শরীরে যখন এক ধরনের প্রদাহ হয় তখন এই রোগটি প্রকাশ পায়। তখন হার্ট ফেল হয়, মাংস পেশি দুর্বল, চোখের প্রদাহ (লাল চোখ), গলা ও মুখগহবর লাল হয়ে যায়। এছাড়া করোনার প্রভাবে রক্তনালীগুলো ফুলে যায় এবং পাশাপাশি কিডনী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিডনীতে পানি জমে যায়। এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে। সারা শরীরে প্রদাহ হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাত ফারুক বলেন, ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া, শকে চলে যাওয়া, হার্টবিট আনস্টেবল হয়ে যাওয়া, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ও ২৭ মে দুই শিশুর মধ্যে পাওয়া যায় এই রোগ। যাদের একজনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল মাত্র দেড়মাস। রোগটি ভয়াবহ হলেও এর চিকিৎসা দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শিশুর শরীরে এরকম লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন।