স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন শুধুমাত্র ফি এর পরিমানের কারনেই করোনা পরীক্ষার হার কম। তিনি বলেছেন, জনগণের কথা ভেবে ফি কমানো হলো। এতে টেস্টের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি কমানো বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিয়ের কারণে অনেক দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা করতে কিছুটা আগ্রহ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছি। তার একটা নির্দেশনা নিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনায় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে ২০০ টাকা যে ফি নেওয়া হতো সেটা কমিয়ে ১০০ টাকা করার জন্য। আর বাড়িতে পরীক্ষা করাতে হলে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নেওয়া হবে। জনগণের দিকে তাকিয়ে ফিয়ের নতুন হার বলবত করা হলো। আমরা আশা করি, ফি কমিয়ে দেওয়ায় টেস্টের সংখ্যা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় ইচ্ছা, টেস্ট করা হোক এবং সংক্রমিত ব্যক্তি চিহ্নিত হোক, তাদের সেবার আওতায় আনা হোক। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়ে নাই। আমাদের এখন যথেষ্ট ল্যাব রয়েছে, কিটসের কোনও অভাব নাই। আশা করি, এই পরিবর্তনের ফলে আগামীতে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’
কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে, পত্রিকাতেও দিয়ে দেবো। সার্কুলার হতে যতটুকু সময় লাগে। তবে শিগগিরই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্ট বিনামূল্যে হওয়ার ফলে অধিকাংশ মানুষ উপসর্গ ছাড়াই পরীক্ষা করার সুযোগ গ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করার লক্ষ্যে ফি নির্ধারণ করে সরকার। সরকারি হাসপাতালে বা বুথে নমুনা পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা এবং বাড়িতে ডেকে নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয় তখন।
ফি দিয়ে করোনার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের পর থেকেই নমুনা পরীক্ষা কমে যেতে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এ কথার সাথে একমত নন। তারা মনে করেন শুধু করোনা ফি না, করোনা টেস্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাবার মূল কারন টেস্টের ফলাফল প্রকাশে দীর্য অপেক্ষা, সাধারন মানুষের সাথে স্বাস্থ্য কর্মীদের খারাপ আচরন সর্বোপরি প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা বিশেষ করে দায়ী।