মেয়েদের কোচের দায়িত্ব পালন করায় একসময় নিজের বন্ধুদের খোঁচা শুনতেন।
‘মহিলা কোচ‘ হিসেবে টিটকারিও শুনেছেন প্রচুর। কিন্তু তাতে দমে যাননি একটুও। দিনের পর দিন এই মেয়েদের আগলে রেখেছেন সন্তানের মতো করে, ভালো-খারাপ সময়ে ওদের নিয়ে লড়েছেন একসাথে।গুরুর এমন একাগ্রতার প্রতিদান দিতে ভুলেননি সাবিনা-কৃষ্ণারা। মহিলা কোচখ্যাত সেই গোলাম রব্বানি ছোটনকে আজ চ্যাম্পিয়ন কোচ বানালেন তারই হাতে গড়া শিষ্যরা।
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সোমবার স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়া সেরার মুকুট জেতার ঘণ্টাখানেক পরে অধনায়ক সাবিনা খাতুনের সাথে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। শিষ্যদের এমন অর্জনে নিজের অবদান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একসময় আবেগী হয়ে পড়েন ছোটন।
সুখের সময় সংগ্রামের দিনগুলো মনে পড়া যে কারো ক্ষেত্রেই বেশ স্বাভাবিক।চ্যাম্পিয়ন কোচের ক্ষেত্রেও হয়তো সেটাই হয়েছে। নইলে এমন সুখের দিনে খারাপ সময়ের স্মৃতি কেনই বা রোমন্থন করবেন!
‘যখন আমি প্রথম মেয়েদের কোচ হই তখন আমার বন্ধুবান্ধবরাও আমাকে খোঁচা দিত রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে বলতো মহিলা কোচ। তবে আজকের মেয়েরা যেমন ফুটবল খেলেছে, যে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছে সেটা কলিজা ছাড়া সম্ভব না।’
অতীত সময়ের আলোচনা শেষ করে ম্যাচের বিষয়েও কথা বলেছেন ৫৪ বর্ষী কোচ। তার মতে, শুরুতে গোল পাওয়াটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তবে ২ গোলের লিড নিয়েও ১২ হাজার দর্শকের সামনে ট্রফি জেতাটা সহজ ছিল না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
‘আমি মনে করি শুরুতে গোল পাওয়াটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যখন ব্যবধান ২-১ এ চলে এসেছিল এতো দর্শকের সামনে আমদের কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তবে সাবিনা খুব ভালোভাবেই সবকিছু ম্যানেজ করেছে।‘