গোপালগঞ্জ পৌরসভার বর্ধিত এলাকার সীমানা জটিলতায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ২০ হাজার ভোটারের ভোট প্রয়োগ। নতুন গেজেট অনুযায়ী বর্ধিত অংশ এরইমধ্যে পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড অনুযায়ী বিভক্ত না হওয়ায় দেখা দিয়েছে এমন সংকট। তবে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন সীমানা নির্ধারণের জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে।
আইনি জটিলতায় ভোটাধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন গোপালগঞ্জ পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ৱ প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা। নতুন গেজেট অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে দর্শক হয়ে থাকতে হবে তাদের। এক বছর সময় গড়ালেও ৬টি ইউনিয়নের বর্ধিত অংশের ওয়ার্ড বিভক্তি না হওয়ায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর প্রশাসন বলছে ওয়ার্ড ভাগ করার কাজ চলমান রয়েছে।
সিমানা জটিলতার কারনে গোপালগঞ্জ
পৌরসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দার। সম্প্রসারিত
এলাকার ওয়ার্ড বিভক্তি করার জন্য গেল ১৯ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি
দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে উচ্চ
আদালতে মামলা চলমান থকায় ঝুলে রয়েছে সে কার্যক্রম। এতে পৌর এলাকায় যুক্ত হয়েও
ভোটার হতে পারছেননা লতিফপুর,গোবরা,বোড়াশী, হরিদাশপুর, দূর্গাপুর ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কিছু অংশের এসব মানুষ।
সাধারন মানুষের অভিযোগ নিয়মিত ট্যাক্স,ভ্যাট,পানির বিলসহ পৌরকর দিলেও পৌরসভার ভোটার হতে পারছেন না তারা।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন অফিসে
লিখিত অভিযোগ করেও ফল মিলছে না। দির্ঘদিন পৌরকর দিয়ে আসলেও ভোটার না হওয়া নিয়ে অনেকটা অসন্তোষ মেয়র কাজী লিয়াকত আলীও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান জানান, সম্প্রসারিত এলাকার সীমানা নির্ধারন করে ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ চলমান রয়েছে।
সম্প্রসারণের পর আয়তন দাঁড়ায় ৩০ দশমিক
সাত শূণ্য বর্গ কিলোমিটার। ৯টি থেকে ১৫ ওয়ার্ডে উন্নিত পৌরসভার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৮ হাজার।