আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি। একেতো নেই পর্যাপ্ত গোলাবারুদ; তার ওপর রুশ বাহিনীর জোরালো হামলায় রীতিমত কোণঠাসা জেলেনস্কি বাহিনী। আতঙ্কে খারকিভের আশপাশের এলাকাগুলো থেকে ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেকে। মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিলেও তা এখনও হাতে পায়নি কিয়েভ। দ্রুত গোলাবারুদ না পেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে শঙ্কা সেনাদের।
দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যেখানে রুশ সেনাদের হামলার মুখে একেবারেই নাজেহাল জেলেনস্কি বাহিনী। যদিও মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবি, গোলাবারুদসহ প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সরঞ্জামের ঘাটতি আছে। অভাব আছে জনবলেরও। দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই খারাপ হচ্ছে রণাঙ্গনের পরিস্থিতি।
এ বিষয়ে এক ইউক্রেনীয় সৈনিক বলেন, একটা সময় দিনে প্রায় ৮০টার মতো গোলা ছোড়া হতো। এগুলো ছুড়তে ছুড়তে আমাদের হাত ব্যাথা হয়ে যেত, ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কিন্তু এখন চুপ করে বসে আছি। রুশ সেনারা আমাদের দিকে গোলা ছুড়লেও মোকাবিলা করার মতো কিছুই নেই আমাদের।
রাশিয়ার হামলায় বিচ্ছিন্ন ইউক্রেনের বেশকিছু অঞ্চল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়েছে খারকিভের আশপাশের গ্রামগুলোয়। আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেক বাসিন্দা।
খারকিভের পর এবার, চাসিভ ইয়ারে আক্রমণের পরিধি বাড়িয়েছে পুতিন বাহিনী। যা দখলে নিলে যুদ্ধে, কৌশলগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে যাবে মস্কো। সহজ হবে দোনেৎস্কের বাকি এলাকাগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেয়া। জোরদার হওয়া এই হামলা ঠেকাতে গোলাবারুদের ঘাটতি অনেকটাই ভোগাবে ইউক্রেনকে, এমনটাই বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রস্তাব পাস হলেও ঠিক কবে নাগাদ এসব অস্ত্র কিয়েভে পৌঁছাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
এটিএম/