চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার ১৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাকলিয়া কে.বি আমান আলী রোডের ফুলতলা এলাকার একটি খালে শনিবার, ২২ আগস্ট আনুমানিক সকাল ০৭:০০ টায় মৃত ভাসমান একটি নবজাতকের লাশ দেখতে পান পান দোকানদার মানিক দাশ। পরে প্রায় ৫ ঘন্টা পর বেলা ১২ টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পান দোকানদার মানিক দাশ দৈনিক অপরাজিত বাংলাকে জানান, “আজ (শনিবার) সকাল ৭টায় ফুলতলা মোড়ে রাস্তার জলাবদ্ধতায় একটি বাচ্চার লাশ ভাসতে দেখি। পরে একটি মহিলা হেঁটে আসার পথে লাশটি তুলে খালে ফেলে চলে যায়। তাকে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি তা শুনেননি।”
এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন অপরাজিত বাংলাকে জানান, “গতকাল শনিবার সকালে ফুলতলা এলাকায় খালে একটি লাশ ভাসার খবর আসে। খবর পেয়ে টিম পাঠিয়ে লাশটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়।”
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ রাসেল প্রতিবেদককে জানান, “আজাদ নামে একজনের কাছে বিষটি জেনে আমি ঘটনাস্থলে আসি। তারপর সকাল ০৮:০০ টায় চকবাজার থানায় বিষয়টি জানানো হলে থানা থেকে এএসআই আবুল বাশার আসেন কিন্তু লাশ দেখে ফিরে যান।” তিনি আরও জানান, এসআই চলে যাবার পর স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে সরাসরি চকবাজার থানার ওসি সাহেবকে জানানো হয়। পরে বেলা ১২:০০ টায় ঘটনাস্থলে এসে এসআই মো. বদিউল এসে লাশটি উদ্ধার করেন। এ সময় চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) রিয়াজ চৌধুরীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এসআই মো. বদিউল জানান বলেন, “খালে একটি লাশ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি নবজাতকের লাশ। লাশটি উদ্বধার করে প্রচলিত আইনে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। কিন্তু মৃত নবজাতকের কোন দাবীদার বা কারো কোন অভিযোগ না পাওয়ার কারনে জিডি করা হয়।”
পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে নবজাতকের লাশটি দাফনের জন্য দিয়ে দেয়া হয়।