চট্টগ্রামে জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রায় সন্নিকট। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন আসন্ন সম্ভবত ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারী/২১ এর প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীতি মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্হিতিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে মত বিনিময় সভা। এসব সভায় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনলে মনে হয়না আওয়ামী লীগের নির্দেশনা কেউ মানছেন না।
দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ যে যার যার মতো করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারনা।
সরজমিনে কোথাও কোথাও দেখা যায়, মত বিনিময় সভায় মেয়র প্রার্থীর সাথে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা ঐ এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত পুরুষ কাউন্সিল কে বাদ দিয়ে শুধু সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল এর জন্য ভোট চাচ্ছেন। আবার কোথাও পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলর দুজকেই বাদ দিয়ে শুধু মাত্র মেয়র প্রার্থীর জন্য ভোট চাওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনা গুলো ঘটছে যে সব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী আছে শুধু সেখানেই। তৃণমূল নেতা কর্মীদের অভিযোগ এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রকাশ্যে সাহায্য সহযোগীতা ও ইন্ধন যোগাচ্ছে আওয়ামী লীগের কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতা।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে এঘটনা গুলি ঘটছে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে চট্টগ্রামের একজন প্রবীণ নেতা জানান, “যদি এভাবে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া কতিপয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে প্রচার প্রচারনা চলতে থাকে তাহলে যে কয়টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে সব গুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।”
বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রশ্রয় ও সমর্থন দেয়া কিছু দলীয় নেতাদের কারনে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর ভোটেও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।