দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীর পোস্টের ‘জাতীয় পার্টির মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সমঝোতায় হয়েছে। এতে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ।
তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টির মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ এমন লেখা থাকায় করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়াও আসনটিতে আওয়ামী লীগের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী- নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজুল হক (ঈগল প্রতীক), মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক (কাঁচি), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূঁইয়া (কেটলি) ও মো. রুবেল মিয়া (ট্রাক) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা নাসিরুল ইসলাম আওলাদ জানান, জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় মুজিবুল হক চুন্নুকে এই আসনে ছাড় দিয়েছে দল। তাই বলে সমর্থন দেয়নি। কাজেই পোস্টারে ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখাটা অন্যায় হয়েছে।
তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক মোতাহার বলেছেন, ‘চুন্নুকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়নি। তার পক্ষে আমরা নির্বাচনী কাজও করছি না। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এ ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে।
পোস্টারের বিষয়ে জানতে মুজিবুল হক চুন্নুকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরর সঙ্গে সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।