এখন অনেকটাই স্পষ্ঠ যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যারা দলীয় পদ পদবী নিয়ে মহানগর কমিটিতে বর্তমান। এসব নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এদিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে কঠোর ভাবে এসব কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন স্বয়ং দলের কমান্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্রের মূল ধারকরা। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে, কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্যকারী ও বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ দাতারা তারা যতই ত্যাগী ও শীর্ষ পদধারী নেতা হন না কেন, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না এমনকি নির্বাচন পরবর্তি দলের কমিটি গঠনে এদের কাউকেই দলে স্থান দেয়া হবে না।
সবঠিক থাকলে আগামী ২৭’শে জানুয়ারী হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন। চট্টগ্রাম নগরের নগর অভিভাবক ও তৎসংলগ্ন ওয়ার্ডের নির্বাচন এখন সারা দেশের টক অব দ্যা টাউন।
ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং গুলো, কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আলোচিত সমালোচিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামধারী পেশী শক্তির সম্পন্ন কথিত কিছু নেতারা। ওয়ার্ডগুলোর সরজমিনে জানা যায়, এদের প্রায় সকলেই একাধিক মামলার আসামী, চাঁদাবাজ, কেউ কেউ নগরীতে সাম্প্রতিক ক্যাসিনো কেলেংকারীর সাথে সম্পৃক্ত, সম্পৃক্ত মাদক সেবন থেকে শুরু করে কারবারের সাথে। শুধু সরকারী দলের ব্যানারে এখনো তারা আছেন বহাল তবিয়তে। তবে এটা স্পষ্ঠ যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী! এসব নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য যে, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে এবার বড় দু’দলের দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন-
এম রেজাউল করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) ও
ডা. শাহাদাত হোসেন (বিএনপি)।
গত ২০১৫ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চিত্র মনে করলে দেখা যায়,তখন সরকার দলীয় যারা মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাদের বেশীর ভাগের ভরাডুবি হয়েছিলো নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কল্যানে। দেখা গিয়েছিলো, একই ওয়ার্ডে দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন নিজ দলেরই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। আর ঐসব ওয়ার্ডে মাঝখান দিয়ে কাউন্সিলর পদটি নিয়ে নেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এসব চিত্র অনুধাবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সঞ্চালকরা এ চসিক নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে যাবার ঘোষনা দিয়েছেন।
তবে ২০১৫ সালের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগের নিজ ঘরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দৌড়াত্ম অনেক বেশী শক্তিশালী। কারন এবার দলীয় হাইকমান্ডের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিদ্রোহীরা তাদের নির্বাচনে থাকার বিষয়ে যেকোন উপায়ে অটল। এ যেনো আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সাথে কিছু বিদ্রোহী অর্থশালীদের এক রাজনৈতিক যুদ্ধ! এসব কারনে দলের অনেক নেতারা বলছেন এবার চসিক কাউন্সিলর নির্বাচনের আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ!
ইতিমধ্যে কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন দলের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হিসেবে যারা নির্বাচন করছেন, তারা হলেন-

চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তৌফিক আহমেদ চৌধুরী,
২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের সাহেদ ইকবাল বাবু,
৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জহুরুল আলম জসীম,
১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মারশেদ আকতার চৌধুরী,
১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে সাবের আহমেদ,
১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের এফ কবির মানিক,
২৫ নং রামপুরা ওয়ার্ডের এসএম এরশাদ উল্লাহ,
২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের লায়ন মোঃ ইলিয়াস,
২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের এইচএম সোহেল,
২৮ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের,
৩০ নং ওয়ার্ডের মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী,
৩১ নং ওয়ার্ডের তারেক সোলায়মান সেলিম ও
৩৩ নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব।
সরজমিনে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিদ্রোহী প্রার্থীদের অধিকাংশ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড়াঃ আফসারুল আমিন ও সাঃ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিন অনুসারী।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা আছেন বেশ ভালো অবস্থানে। এ নির্বাচনকে ঘিরে তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও আওয়ামী লীগের মতো এতোটা প্রকাশ্যে নয়। দলের দুই হেভিওয়েট নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা দু’জনেই তাদের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ডাঃ শাহদাত হোসেন এবং দলীয় মনোনীত কাউন্সিলরদের পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেছেন এবং সে ভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে।
অপর দিকে আওয়ামী লীগে দেখা যাচ্ছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। দির্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারনে চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান নেতা ডাঃ আফসারুল আমিনকে দেথা যাচ্ছে না চসিক নির্বাচনের কোন কর্মকান্ডে। মহিউদ্দিন পরিবারের সাথে অঘোষিত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে সদ্য বিদায়ী মেয়র আজম নাছিরের নির্বাচনী কার্যক্রমে খুব একটা আন্তরিকতা দেখতে পাচ্ছেন না মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
চট্টগ্রামের কিছু বর্ষিয়ান নেতাদের মতে, মহিউদ্দিন পরবর্তি চট্টলার রাজনৈতিক পটভূমির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে চট্টলা বীর বলে খ্যাত এবিএম মহিউদ্দিনের প্রয়ানের পর আওয়ামী লীগের ভিতর হাইব্রিডদের প্রবেশ সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে, যার মাশুল গুনতে হবে এ চসিক নির্বাচনে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নামওয়াস্তে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নামধারী হাইব্রিডদের পদচারনায় সরব। এসব হাইব্রিডদের পিছনে টাকা উড়াচ্ছেন কিছু বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় বিদ্রোহীদের সাথে দেখা যাচ্ছে এক সময়কার বিরোধী দলে থেকে রাজপথ কাঁপানো সুযোগসন্ধ্যানী নেতা কর্মীদের।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় বৈঠক করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। গেল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হওয়া ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতবিনিময় সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
জরুরি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহীদেরকে অবশ্যই সরে দাঁড়াতে হবে অন্যথায় বহিষ্কার করা হবে।”

চসিক মতবিনিময় সভায় আরেক বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, “বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে যে কোনোভাবে বসাতে হবে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে ডেকে বসতে হবে।
যদি না বসে মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে তাদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠালে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী হতে হবে।” মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটস্থ বাসভবনে চসিক নির্বাচন নিয়ে জরুরি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের এই দুই শীর্ষ নেতা এসব কথা বলেন।

চসিক নির্বচনকে কেন্দ্র করে মতবিনিময় সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে এক মঞ্চে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
কিন্তু, তৃনমূল নেতা কর্মীরা এ বৈঠকের বিষয়ে নিজেরাই সন্দিহান, কারন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নিজেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে নিজেই মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছেন। তার প্রমান পাওয়া গেছে সম্প্রতি বিভিন্ন মত বিনিময় সভায় মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে, যেখানে দেখা মেলেনি দল থেকে মনোনীত কোন প্রার্থীকে। এসব মত বিনিময় সভায় উপস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেকই নাকি প্রাক্তন মেয়র আজম নাছিরের অনুসারী।
কিন্তু দলের হাইকমান্ড থেকে স্পষ্ঠ হুঁশিয়ারি আছে যে, দলের সাংগঠনিক পর্যায়ে যারাই আছেন প্রত্যেক শীর্ষ নেতাদের কেউই কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করতে পারবেন না এবং অবশ্যই দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে হবে। অন্যথায় এসব শীর্ষপদধারী নেতাদের বিরুদ্ধেও হাইকমান্ড কঠোর অবস্থানে যাবেন। কিন্তু সরজমিনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপট।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রাক্তন মেয়র আ জ ম নাছির।
গোপন সূত্রে জানা যায়, এবার চসিক নির্বাচনে চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও সকল বিদ্রোহী প্রার্থীরা কেন্দ্রের কঠোর নজরদারিতে আছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও এসব নেতাদের কার্যকলাপ কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। দলীয় নিয়ম ভেঙ্গে যেসব নেতারা চসিক নির্বাচনে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন তাদের নামের লিষ্ট করা হচ্ছে যার অনেকের নাম কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়েও পাঠানো হচ্ছে বলে জানা যায় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে। এতেই বুঝা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কতটা কঠোর অবস্থানে আছে।
অন্য আরেকটি সূত্রে জানা যায় যে, নগরের কিছু ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা গোপনে বৈঠক করছেন। তারা যেকোন প্রকারে দলীয় আদেশের বিপক্ষে গিয়ে হলেও নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে দলীয় শাস্তিও তারা মাথা পেতে নিবেন। এতেই বুঝা যায় তারা কতটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য।
এবিষয়ে বলতে গিয়ে আওয়ামী যুবলীগের এক নেতা (নাম প্রকাশ না করা শর্তে) বলেন, ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কিশোর গ্যাং গুলোকে আরও সক্রিয় করা হচ্ছে, সক্রিয় হচ্ছে কিছু পেশী শক্তি প্রদর্শনকারী আর এসব কার্যক্রমে লেনদেন হচ্ছে বিশ-ত্রিশ লক্ষ টাকায়।
কারা এমন লেনদেন এবং কিশোর গ্যাং গুলোকে সক্রিয় করছেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে উক্ত যুবলীগ নেতা কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন বরং এমন প্রশ্নের উত্তরটি সরাসরি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “এবার আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হবে আওয়ামী লীগ, নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা রয়েছে।”
অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী স্বয়ং নিজে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা ও দলীয় নিদের্শ অমান্য করে চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী মতবিনিময় সভা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জনাব রেজাউল করিমের অনুসারী নেতা কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ মনোনীতি মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্হিতিতে ঐসব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীর মদদ দাতা নেতারা মতবিনিময় সভায় মেয়র প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্যই শুধু ভোট প্রার্থণা করছেন। যেটি ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি করছে।
মত বিনিময় সভায় মেয়র প্রার্থীর সাথে কোথাও আওয়ামী লীগ সমর্থিত পুরুষ কাউন্সিলরকে বাদ দিয়ে শুধু সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল এর জন্য ভোট চাওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলর দুজকেই বাদ দিয়ে শুধু মাত্র মেয়র প্রার্থীর জন্য ভোট চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা গুলো ঘটছে যেসব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী আছে শুধু সেখানে। তৃণমূল নেতা কর্মীদের অভিযোগ এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রকাশ্যে সাহায্য সহযোগীতা ও ইন্ধন যোগাচ্ছে আওয়ামী লীগের অনান্য কিছু নেতারা যাদের বেশীর ভাগই মহানগরের বিভিন্ন পদে বর্তমান আছেন।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে এঘটনা গুলি ঘটছে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্হিতেই।
চট্টগ্রাম মহানগরের যে সব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা দেখলে মনে হয়না আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশনা কেউ মানছেন। যার যার ওয়ার্ডে তার তার মতো করে বিদ্রোহীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন।
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে যদি এভাবে প্রচারনা চলতে থাকে তাহলে তৃণমূলে বিভক্তি বাড়বে যার প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ফলাফলে।
মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতা-কর্মীরা মনে করছেন যে, এভাবে নির্বাচনি প্রচারনা বা মত বিনিময় সভা চলতে থাকে তাহলে যে কয়টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে সব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। সেই সাথে এর প্রভাব পড়বে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর ভোটের ফলাফলে এমনই আশঙ্কা করছেন ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের।
তবে চট্টগ্রামে এসে মাহবুবুল আলম হানিফের দেওয়া কড়া হুঁশিয়ারির পরও বেশ কিছু বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে বিভিন্ন বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশের বাহিরে গিয়ে কেন কি কারনে যে কোন উপায়ে নির্বাচনের মাঠে থাকার অঙ্গিকার করেছেন তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের প্রতিক্রিয়ায় হাইকমান্ডের মনোনয়ন নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়াঃ
নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জহুরুল আলম জসীম বলেন, “নির্বাচন নিয়ে মূল ভাবনা আমরা নির্বাচন করবো। নির্বাচন করার জন্য এলাকার ভোটারদের প্রচণ্ড চাপ আছে। কারণ গত পাঁচ বছর আমরা তাদের সুখে-দুঃখে ছিলাম। করোনাকালেও আমরা মানুষের ঘরে ঘরে গেছি।” কিন্তু কেন্দ্রের কঠোর অবস্থানের কথা স্মরন করিয়ে দিলে তিনি জানান, “কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ ভাইয়ের সাথে দেখা করছি। আমরা উনাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাদের যাচাই বাছাই করে দেওয়া হয় নাই। যেমন: আমার এলাকায় যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে উনার বয়স এখন ৭৪ বছর, সামাজিক কোনো কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নন, এক সময় এ ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুর ছবি কুকুরের গলায় ঝুলিয়েছিলেন।”
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মোরশেদ আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পার্টির দুঃসময়ে জেল জুলুমের শিকার হয়েছি, আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মী, নিজেদের আমরা নেতা বলি না। এখন দলের সুসময়ে আমাদের বঞ্চিত করবে— এরা কারা?’ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এই সদস্য বলেন, “দলের সমর্থন আমরা পাইনি। কিন্তু আমাদের জনসমর্থন আছে। মহানগর আওয়ামী লীগের মতামত কিংবা তৃণমূলের মতামত নিয়ে কি কাউন্সিলর পদে দলের সমর্থন দেওয়া হয়েছে? কারা এদের তালিকা করলো? কাদের স্লিপে এসব মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে? তাছাড়া দলীয় প্রতীক তো নৌকা। আমরা তো নৌকাকে বিজয়ী করতে সর্বস্ব বাজি ধরা কর্মী। নৌকার বিরুদ্ধে তো আমরা নই।” প্রাক্তন এ কাউন্সিলর আরও বলেন, “নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই, আমরা আগেও মানুষের পাশে ছিলাম মহামারীতে জনগণের পাশে ছিলাম। এমনকি করোনা আক্রান্ত রোগীকে আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি। এখন মানুষ আমাদের আরও বেশি করে চায়। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোন উপায় তো আমি দেখছি না।”
আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, “করোনাকালে দলের সব কর্মসূচিতে আমরা ছিলাম। এর আগেও যখন নমিনেশন সাবমিট করেছি, এরপর এত সময় গেল দল তো তখন আমাদের কোন দিকনির্দেশনা দেয়নি। করোনার সময়ে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এসব করতে গিয়ে আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। আমি তো মারাও যেতে পারতাম। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, মানসিকভাবেও অপদস্থ হয়েছি। পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ তো আমাদের নাই।”
তবে আওয়ামী লীগের রজিনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের মতে কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন আসলেই যাচাই বাছাই ছাড়াই করা হয়েছে। বেশ কিছু দলীয় ভাবে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের অতীত কর্মকান্ড এমনিতেই সমালোচিত।
যে কারনে বর্তমানে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ কাজ করছে। যার বহিঃপ্রকাশ তাদের নির্বাচনের মাঠে থাকার অটল সিদ্ধান্ত।
নগরীর ২৮নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ২৮ নং মোগলটুলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। এখানে দল থেকে মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম বাহাদুর৷
তিনি জানান, “গত ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯টায় স্থানীয় পাঠানটুলী তরুণ গোষ্ঠি আয়োজিত বিজয় দিবসের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাউন্সিল প্রার্থী বাহাদুর নগরীর আলোচিত যুবলীগ নেতা মিন্টু হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ৫ আসামীকে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। এ বিষয়টিকে এলাকাবাসি ভালোভাবে নেয় নি। জনপ্রতিনিধি হবার আগেই যে ব্যাক্তি হত্যা মামলার আসামীদের নিয়ে আনন্দ উৎসব করতে পারেন তাহলে ভোটে জিতার পর এ ব্যক্তির কাছ থেকে এলাকাবাসী কি সেবা পাবেন তা যথেষ্ঠ অনুমেয়।”
এ বিষয়ে নগরীর ২৮ নং মোগলটুলি ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পরদিন মারা যান যুবলীগ কর্মী মারুফ চৌধুরী মিন্টু৷ এই ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে স্থানীয় ডবলমুরিং থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন৷ গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে মিন্টু হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ২নং আসামী মোস্তাফা কামাল টিপু, ৪নং আসামী মোঃ মাহবুব প্রকাশ ইয়াবা মাহবুব, ৫নং আসামী ফয়সাল, ৬নং আসামী শাহেদ ও ৭নং আসামী রাব্বি অংশ নেয়৷ এসময় মঞ্চে ২নং আসামী টিপু ও ৪নং আসামী মাহবুবের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুর৷ মিন্টু হত্যা মামলার আসামীরা কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুরের অনুসারি। জানা যায় নিহত মিন্টু আরেক বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের প্রকাশ মাছ কাদেরের অনুসারি৷
অভিযোগ আছে আসন্ন চসিক নির্বাচনে মোগলটুলি এলাকার প্রধান দুই কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুর ও কাদের-এর মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ চলছে। বর্তমানে উক্ত ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদের।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, “আওয়ামী লীগের মত একটা বড় দলেরতো এই ধরনের সমস্যা হতেই পারে৷ তবে তারা মনে করেন সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে৷ যারা মানবেন না, বুঝতে হবে তারা সুবিধাবাদী৷ এদের ব্যাপারে নীতি নির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে৷”
তারা আরও বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে দলে এই ধরনের অনেক সুবিধাবাদী ঢুকে গেছে৷ এদের নিয়ন্ত্রণে রাখা তো আওয়ামী লীগের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ বটেই৷ নীতি নির্ধারকরা নিশ্চত এ বিষয়ে সতর্ক আছেন৷”
উল্লেখ্য যে, স্থগিত হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের নতুন করে মনোনয়ন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে শুধু সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং ৪০ ওয়ার্ডের প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ইসি তাদের সময় দেবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ আগস্ট।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসাবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনাকালীন সময়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী পুরানো রাজনৈতিক দল এবং সবচেয়ে বেশী সময় সরকার দলে থাকা দল আওয়ামী লীগ এর ভিতর অনেক বিশৃংঙ্খলা দেখা দেয়। সুবিধাবাদীদের কারনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চরম অরাজকতা দেখা দেয়, যার প্রভাব পড়েছিলো দলটির অনেক গভীরে। দুর্ণীতিতে দলটির অনেক নেতাদের সংশ্লিষ্টতার কারনে দলটির নীতিনির্ধারকদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। কঠোর অবস্থানে থেকে দলটি এসব অরাজকতার লাগাম টানতে সমর্থ হয়। কোন রকম স্বজনপ্রীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে কঠোর নীতিতে থাকেন হাইকমান্ড। দলের শৃঙ্খলা রাখতে হাইকমান্ডের কঠোর সিদ্ধান্তের কারনে দলের বহু শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার সহ প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হয়। দলের নিয়ম নীতির তোয়ক্কা না করে যারা চসিক নির্বাচনে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাবেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে যেতে দলটির হাইকমান্ড বদ্ধপরিকর।