আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তাতে এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াতই বিএনপির মূল নেতৃত্ব দেবে। বিএনপি হবে জামায়াতের বি-টিম।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। জনসস্পৃক্ততার অভাবে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নাশকতা করে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চায়। বিএনপি অফিসে তারা নিজেরাই তালা মেরেছে। সাহস থাকলে বের হয়ে আসুক। জোটের সঙ্গে আসনবণ্টন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে আসনবণ্টন হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধী দল বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তৃণমূল বিএনপি-তারা তো বৃহৎ জোট। সুপ্রিম পার্টি। আরও অনেকে আছে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবার জাতীয় পার্টির শক্তিশালী বিরোধী দলের মোক্ষম সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত মতামত। তারা আমার মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। এটাও গণতন্ত্র। যারাই নির্বাচন করবে তারাই পরস্পরের প্রতিপক্ষ হবে।
স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বিরল। এরপরও শত বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতার মুখেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই গণতন্ত্রের হাল ধরেছেন। সে কারণে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির পরও আমরা গণতন্ত্র বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ আরও অনেকে।