ত্রিদেশীয় সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ভাল উদ্যোগ। এতে লাভবান হবে দেশ। বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ বৈঠক নিয়ে এমন মত বিশেষজ্ঞদের। তবে রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত হত্যা কিংবা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর মত বড় ইস্যু সমাধানে ভারতকে আশ্বাসের বদলে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন তারা।
করোনা সংকট মোকাবেলা করছে বর্তমান বিশ্ব। এমন আর্ত সময়েও ভারত-বাংলাদেশ সর্ম্পক সহযোগিতার অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই দেশের ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকেও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বৈশ্বয়িক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। স্বাক্ষরিত হয় ৭ সমঝোতা ও চুক্তি।
ত্রিদেশীয় সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিশ্লেষকরা। থাইল্যান্ড, মায়ানমার ও ভারতের সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন গতি পাবে বলে আশা করছেন তারা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, উন্নয়ন যেহেতু হচ্ছে আমরা স্বাভাবিকভাবে চাইবো যতো বেশি কানেকটিভিটি হবে ততোবেশি বাংলাদেশের লাভ হবে। কিন্তু কোন সময়েই যেন চিন্তা না করা হয় যে, এটাই একমাত্র চ্যানেল হতে হবে, অন্য চ্যানেল গ্রহণ করবো না।
বৈঠকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ, সীমান্ত হত্যা বন্ধ কিংবা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আশ্বাস ছাড়া বড় কোন অগ্রগতি নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির বলেন, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ব্যাপারে আরও সূক্ষ্মভাবে, সুন্দরভাবে যদি বলতেন। তিনি বলেছেন এখন চেষ্টা করছি, আবার চেষ্টা করবো। তার আগে মনমোহন সিং তো বলেছিলেন, আমরা সচেষ্ট হবো যাতে করে এখানে একটা স্বাক্ষর করতে পারি।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যখন ভোটাভুটি হয় তাতে আমরা দেখেছি যে ভারত বিরত থাকছে। সে হয়তো পজিটিভ ভোট দিচ্ছেন না, তিনি কিন্তু নেগেটিভ ভোটও দিচ্ছেন না।
পেনডামিক পরিস্থিতিতে টিকা যেন রাজনীতির বিষয় না হয় সে বিষয়েও সজাগ থাকার তাগিদ তাদের।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভ্যাকসিনকে সামনে রেখে একটা রাজনীতি বা ডিপ্লোমেসি চলছে বলে অনেকেই বলছেন। এখানে যেন ভারত-বাংলাদেশ বিরত থাকে।
দ্বিপাক্ষিক স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে একযোগে কাজ করা গেলেই উপ-আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর দ্রুত সমাধান মিলবে বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষকরা।