খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন বাবুছড়া গুচ্ছগ্রাম সোনামিয়া টিলার (৮১২ পরিবার) ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মালেকের বাড়িতে ব্রাশফায়ার করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে মো. আবদুল মালেক অল্পতে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলিতে মারা গেছেন তার সহধর্মিণী মোরশেদা বেগম (৪০)। আর ছেলে আবদুল আহাদ (১৩) আহত হয়ে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে প্রসীত পন্থি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা বাবুছড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকার আঃ মালেকের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে ৩০-৪০ রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন করতে থাকে। এতে মোর্শেদা বেগম ও তার ছেলে মো. আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান মো. আব্দুল মালেক। পরে স্থানীয়রা তাদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্শেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে। বর্তমানে নিহতের ছেলে আহাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, দীঘিনালা শাখার নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, নিহত মোর্শেদা বেগমের স্বামী আঃ মালেক দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের সোনামিয়া টিলায় উপজাতিদের দ্বারা দখলকৃত বাঙ্গালীদের বরাদ্ব কৃত ৮১২ পরিবারের ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা