দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের মধুখালী। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ডুমাইন এলাকায় বিজিবি’র পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও রায়ট পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দুই সহোদর হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনতা। এসময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
একই সময়ে মধুখালীর বাগাট বাজার ও মধুখালী রেলগেট এলাকায়ও অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে এ মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়ক থেকে লোকজনদের সরাতে পুলিশ টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জানান, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়। কোথাও বুঝিয়ে-শুনিয়ে, কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমদাদ হোসাইন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল থেকে নওপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়। পুলিশ টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেবার অভিযোগ এনে নৃসংশভাবে পিটিয়ে আশরাফুল ও আশাদুল নামের দুই নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে মধুখালী থানার ইউএনও এবং ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
এএইচ