পাকিস্তানের সামনে লঙ্কানদের সংগ্রহটা ছিল পাহাড়সম। ৩৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে রেকর্ড গড়েছে বাবর আজমের দল।
দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল আয়ারল্যান্ড।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
জবাবে নেমে আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের এক ম্যাচে চার ব্যাটারের সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা।
এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এর আগে দুই ম্যাচে চার ব্যাটার সেঞ্চুরি পেয়েছিল।
যার একটি ১৯৯৮ সালে লাহোরে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে, অন্যটি ২০১৩ সালে নাগপুরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে।
লঙ্কানদের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১৬ রানেই হারায় ইমাম উল হকের উইকেট। এরপর ৩৭ রানে ফিরে যান অধিনায়ক বাবর আজম। দুই টপঅর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
পরে ১৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৩.১ ওভারে দলীয় ২১৩ রানে আবদুল্লাহ শফিককে ফেরান মাথিশা পাথিরানা। দুসন হেমন্তের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১০৩ বলে করেছেন ১১৩ রান। ছিল তিনটি ছক্কা ও ১০টি চারের মার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের যোগ্য সঙ্গী হয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ফেরেন সৌদ শাকিল।
এ জুটিতে আসে ৯৫ রান। ৩০ বলে ৩১ রান করে থিকসানার শিকার হন শাকিল।
এরপর ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মোহম্মদ রিজওয়ান। আটটি চার ও তিন ছক্কায় ১২১ বলে ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। ইফতিখার করেছেন ১০ বলে ২২ রান।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন মাধুশঙ্কা। এছাড়া পাথিরানা ও থিকসান নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি লঙ্কান বাঁহাতি ওপেনার কুশল পেরেরা।
৪ বল খেলে কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেটের পেছনে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন।
তিনে নেমে উইকেটকিপার-ব্যাটার কুশল পেরেরা ঝড় তোলেন। ৪০ বলে তুলে নেন চলতি আসরে টানা দ্বিতীয় ফিফটি।
পরের ফিফটি, অর্থাৎ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৬৫ বলে। এটি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
শেষপর্যন্ত ৭৭ বলে ১২২ রানে হাসান আলীর শিকার হন। তার ইনিংসে ১৪টি চার এবং ৬টি ছক্কার মার ছিল।
লঙ্কানদের অন্য ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাও ফিফটি তুলে নেন। ডানহাতি ব্যাটার ৬১ বল খেলে ৫১ রানে লেগ স্পিনার শাদাব খানের শিকার হন। আক্রমণাত্মক খেলে মাত্র ২৮ ওভারে দলীয় ২০০ রান পূর্ণ করেন শ্রীলঙ্কা।
নিশাঙ্কার পর কুশল মেন্ডিসের সাথে যোগ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
ডানহাতি ব্যাটার ৮২ বলে ক্যারিয়ারের এবং বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
তাকে প্রথমে সঙ্গ দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পরে অধিনায়ক শানাকা।
১০৮ রান করে হাসানের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংস।
পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী ৭১ রানে ৪ উইকেট নেন। হারিস রউফ ২টি এবং শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং শাদাব খান একটি করে উইকেট নেন।