আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। তারা কারো কাছে হাত পেতে নয়, বরং সম্মানের সাথে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। সেইলক্ষ্যে তার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।”
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এসময়, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের উন্নয়ন বিবেচনায় সরকারের অর্জন কম নয়। দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখা প্রতিটি মানুষকে সম্মান করা তাঁর সরকারের দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।”
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেনঃ
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দাস্তগীর গাজী বীর প্রতীক,
প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ,
প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান,
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও
অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির,
সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার এবং
শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমস।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
