বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী বেগম হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ বলেন,
“দেশের মানুষ তারেক রহমানকে চেনে না কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে সবাই চেনে।
তিনি ডাক দিলে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে।”
গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরে নিজ বাড়িতে
বেগম জিয়ার মুক্তিসহ আরোগ্য কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনা মওদুদ বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে আমার এক ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে।
এতে শুধু আমাকেই বলতে সুযোগ দিল।
তিনি আমার সন্তানের মতো, আমি তাকে বললাম- আপনাকে অনেকে ভালোবাসে, ইয়ং জেনারেশন ভালোবাসে কিন্তু দেশের মানুষ আপনার কাজ দেখে নাই, আপনাকে চেনে না।
তবে তারা বেগম জিয়াকে চেনে। তার এক ডাকে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমার কথা শুনে তারেক রহমান একটু অবাক হলেন যে, তার মায়ের এতো জনপ্রিয়তা।
আমি বললাম- হ্যাঁ, আপনার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি এক ডাক দেয়, দেশের মানুষ তার সামনে আসবে।
এতোটাই তার শক্তি ও আকর্ষণ যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছিল।
হাসনা মওদুদ আরও বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমার ওই বৈঠকের পর খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান মায়ের মুক্তির জন্য আরও বেগবান হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া তারেক রহমান তার মায়ের জন্য আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন।
এরপর থেকে সারা দেশের মানুষ, বিশ্বের মানুষ জেনেছে বেগম জিয়া বাংলার ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’।
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা মাস্টার ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন – উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আতোয়ার রহমান পাবেল প্রমুখ।
এদিকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে দোয়া ও আলোচনা সভার
আয়োজন করা হলেও এতে উপজেলা বা পৌর বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
এ অনুষ্ঠান বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমার জানা নাই।
এ প্রোগ্রাম কারা করেছে সেটাও আমি জানি না। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন জাতীয় পার্টি সরকারের উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
তার ছেড়ে দেওয়া নোয়াখালী-৫ আসন থেকে স্ত্রী বেগম হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করান।
পরে ১৯৯১ সালে ওই আসন থেকে মওদুদ আহমদ আবারও জাতীয় পার্টির এমপি নির্বাচিত হন।
পরে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে হেরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পুনরায় বিএনপিতে যোগ দিলেও বিগত ২৬
বছর হাসনা মওদুদের নাম বিএনপির কোথাও দেখা যায়নি।
তবে সম্প্রতি গঠিত কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সদস্য হিসেবে তার নাম রাখা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ সময়।