ভোটের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব ততই স্পষ্ট হচ্ছে চট্টগ্রামে। কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ছে সহিংসতায়। বিভক্তি বেড়েছে ১৬টির মধ্যে অন্তত ৯টি আসনে। এরমধ্যে ৫টিতে সংঘাত হচ্ছে নিয়মিতই। দলীয় নির্দেশনার পরেও বন্ধ হচ্ছে না।
কোথাও নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, কোথাও প্রচারণায় হামলা কিংবা পোস্টার ছেঁড়া। চট্টগ্রামে অন্তত পাঁচটি আসনে এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। যার সবই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে।
স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থিতার সুযোগ দেয়ার পর থেকেই বিভাজন নিয়ে শংকা ছিল ক্ষমতাসীন দলে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে দ্বন্দ্ব। কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছে সংঘাতে। বাদ যাচ্ছে না সিনিয়র নেতারাও। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাতকানিয়া ও পটিয়ায় বিভক্তি ও সংঘাত বেড়েছে বেশি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছি যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষ্যে পক্ষে বিপক্ষে আপনারা থাকতে পারেন, কিন্তু কোনো ধরণের সংঘাতে জড়ানো যাবে না।
একই অবস্থা উত্তরেও। সন্দ্বীপ আর মিরসরাইয়ে সংঘাত হচ্ছে নিয়মিত। এছাড়া বিভক্তি বেড়েছে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারিতে। কাজে আসছে না সংঘাত বন্ধে দলের নানা উদ্যোগও।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, সন্দ্বীপ, মিরসরাই ও ফটিকছড়ি এ কয়েকটা জায়গায় গ্রুপিং আছে। এটা নির্বাচনী সহিংসতার পর্যায়ে যাতে না যায় সেটা আমরা করার চেষ্টা করছি। কেননা আমাদেরকে আবার একসঙ্গে রাজনীতি করতে হবে।
মহানগরের চারটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ আসন ছাড়া বাকি তিনটিতেই নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে বিভাজন তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগে। খোদ সিনিয়র নেতারাই পক্ষ নিচ্ছেন একেক প্রার্থীর।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, এই নির্বাচনকে যেন আমরা প্রতিহিংসা, সহিংসতা বা সংঘাতে পরিণত না করে এটাকে যোগ্য, দক্ষ, সৎ’ ভালো নেতৃত্ব বাছাইয়ের উৎসবে পরিণত করি।
দলীয় নির্দেশনার পরও সংঘাত বন্ধ না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের ওপর জোর দিলেন সিনিয়র নেতারা।