মেজর সিনহার হত্যাকারী ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সুন্দরী স্ত্রী চুমকি দেখছি প্রদীপের চাইতেও আলোকিত নক্ষত্র।
চুমকির নামে ৪ কোটি টাকার সম্পদ। ভাবা যায়? চুমকি দাশ ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালির পাথরঘাটা এলাকায় জমিসহ একটি ছয়তলা বাড়ি তার বাবা দানপত্র দলিল করে দিয়েছে বলে ঘোষণা দেয়।
ধূর্ত প্রদীপ কুমার দাশ স্ত্রী চুমকিকে মৎস ব্যবসায়ী এবং কমিশন ব্যবসায়ী হিসেবে দেখিয়ে অবৈধ সম্পদ জায়েজ করার চেষ্টা করেছে। চুমকি ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালির পাথরঘাটা এলাকায় জমিসহ একটি ছয়তলা বাড়ি তার বাবা দানপত্র দলিল করে দিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, আসলে বাড়িটি প্রদীপই কিনেছিল। সেই বাড়ি শ্বশুরের নামে কিনে আবার স্ত্রীর নামে ফেরত নিয়েছে।
দুদকের রিপোর্টে উঠে এসেছে, চুমকি দাশ শুধুই একজন গৃহিনী। তার স্বামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ১৯৯৫ সালে এসআই হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়। ২০০২ সালে তার বা তার স্বামীর ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা সঞ্চয় ছিল না। এছাড়া প্রদীপের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব বিবরণীতে মৎস্য ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো লেনদেন না পাওয়ার কথাও মামলায় উল্লেখ করেছে দুদক। ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির নামে করেছে মৎস্য খামার, বিপুল পরিমাণ কৃষি-অকৃষি জমি। স্ত্রীর নামে সে ব্যাংকে রেখেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি। বিদেশে টাকা পাচারের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
দুইজনের নামে-বেনামে জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ মিলেছে। এরমধ্যে স্ত্রীর নামে চট্টগ্রাম মহানগরে ছয়তলা বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। স্বামীর সাথে মিলেঝুলে ভালো পারফর্মেন্স দিয়েছে চুমকি দাশ। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাধারণ জনগণ আশা করছে খুনি প্রদীপের সাথে চুমকিরও উপযুক্ত শাস্তি হবে।