ফটিকছড়ির নাজিরহাট নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসা’র শূরা কমিটির বৈঠক ডাকা-না ডাকা নিয়ে ছাত্রদের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার মাঠে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, ২৮ অক্টোবর অাহুত শূরার বৈঠক এবং মাদ্রাসার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে মুহতামিম দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ এলাকাবাসী-ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন উপস্থিত ছাত্রদের একাংশ অবৈধ মুহতামিম মানি না, শূরা চাই শূরা চাই বলে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রদের একটি অংশ স্লোগানধারীদের নিবৃত্ত করতে চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উভয়ক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের কিছু উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী লাটি-সোটা নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে থাকে। এ ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন ছাত্র। পরে র্যাব-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে মাদ্রাসায় অবস্থান করে স্লোগান-পাল্টা স্লাোগান দিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে নাজিরহাট এলাকায় উত্তজেনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসএসপি (হাটহাজারী সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল-মাসুমের নেতৃত্বে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য ২৭ জুন নাজিরহাট নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা ইদ্রিস ইন্তেকাল করলে সহকারী পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমানকে সাময়িক দায়িত্ব দেয় শূরা কমিটি। পরবর্তিতে মাদ্রাসার শূরা সদস্য হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রয়াত পরিচালক আল্লামা আহমদ শফীকে প্রলুব্ধ করে তাঁর পুত্র আনাস মাদানীর উদ্যোগ নিয়োগ পত্র দিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহকে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম ঘোষণা করলে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমানসহ শূরার অন্যান্য সদস্যরা তা মেনে নিচ্ছে না। এরমধ্যে দু’পক্ষের বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৮ অক্টোবর শূরা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ শুরা কমিটির বৈঠক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।
এ উদ্ভব পরিস্থিতি ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জানান, ফটিকছড়িকে হাটহাজারীর মত পরিস্থিতি করতে দেয়া হবেনা। তিনি বলেন,যেখানে কওমী আকিদার সব মাদ্রাসা আল্লামা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে চলছে। সেখানে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা বিচ্ছিন্ন থাকতে দেয়া হবেনা। পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান। এ ছাড়া আজকে ,শুরা কমিটির বৈঠকের দাবীতে
শতশত শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় মাদ্রাসা মাঠে বিক্ষোভ করছিল।