দেশের জন্য পাপিয়ার মতো ব্যাক্তিরা বিপদজনক বলে মন্তব্য করেন আদালত। যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র আইনের মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ।১২ অক্টোবর সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯-এর ‘এ’ ধারায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে দুজনকে ২০ বছর করে এবং ১৯-এর ‘এফ’ ধারায় অবৈধভাবে গুলি রাখার দায়ে দু`জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে পাপিয়া ও তার স্বামীকে মোট ২০ বছরের সাজা খাটতে হবে।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে সোমবার পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক শিহাব।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগী, তার স্ব্বামী মফিজুর রহমান সুমনসহ আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।।