ধর্ষণ যেন এক ভয়াবহ মহামারিতে পরিনত হয়েছে দেশে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন হবার পরও ধর্ষণের অপরাধ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৈশাচিক খেলায় মেতে উঠেছে ধর্ষক দুর্বিত্তরা।
এবার কক্সবাজোরে ঘটে গেলো আরেকটি পিলে চমকানো ধর্ষণের ঘটনা। এক পিতা তার ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারে নাই বিধায় তার পনেরো বছরের কিশোরী কন্যাকে জোড় করে তুলে নিয়ে গিয়ে টানা দেড়মাস গনধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পাওনাদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, কিশোরীর পিতা একজন অটো রিক্সাচালক। কিশোরীর পিতা তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যাক্তির নিকট থেকে ৩৫,০০০ টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে উক্ত ধারের টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হলে পাওনাদার তার দলবল নিয়ে জোড় করে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় এবং দেড় মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-
মূল অভিযুক্ত মোঃ শাহাবুদ্দিনসহ (২৮),
আরমান হোসেন (২৭),
নুরুল আলম (৩৮) ও
লোকমান হাকিমকে (৩৪)।
র্যাব সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর এলাকায় ওই কিশোরীর (১৫) বাবা অটোরিকশা চালান। পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি তাঁর কাছে ৩৫ হাজার টাকা পান। কিন্তু এ টাকা তিনি দিতে পারছিলেন না। এ কারণে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে দেড় মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়েটির মা বিষয়টি র্যাবকে জানালে শুক্রবার কক্সবাজার থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার করা হয় এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মোঃ শাহাবুদ্দিন সহ ৪ অভিযুক্তকে। তাঁরা সবাই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানায় র্যাব। তাঁদের সবার বাড়ি কক্সবাজার সদরে।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মাশকুর রহমান জানান, গত ১লা সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান শাহাবুদ্দিন। পরে তাকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।