আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বড় জোট করবে না, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তবে পুরেনো আদর্শিক জোট ১৪ দলের শরিকদের বিষয়ে ‘এখনো; সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
জোট গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা)। এখানে শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি।
‘শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা,’ প্রশ্ন তোলেন কাদের। বলেন, ‘কারণ, জোটের বিপরীতে জোট হয়। এখানে আমাদের প্রতিপক্ষ যদি একটা বড় জোট করে, সেটার বিপরীতে আমাদের বড় জোট হবে।’
‘তাছাড়া আমরা কেন কেন অহেতুক জোট করতে যাবো। প্রয়োজন না থাকলেতো জোট করবো না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আর জোট করবো যাদের নিয়ে, তাদের তো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।’
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া ১৪ দলীয় জোট। এই জোটে রয়েছে- জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, তরিকত ফেডারেশন এবং জেপি।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ১৩টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। শরিকদের অনেকেই লড়েন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে।
এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।
তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন এখনো সমঝোতায় বসেনি আওয়ামী লীগ। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আগে ৩০০ আসনের জন্যই প্রার্থী চূড়ান্ত করছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড।