বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সদ্য অবসরের ঘোষণা দেয়া অধিনায়ক তামিম ইকবালকে গণভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তামিমের অবসর ঘোষণার একদিন পর তাকে গণভবনে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী।
তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন একদিন আগে।
তবে তামিমের আকস্মিক বিদায় মানতে পারছে না ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকদের কেউই।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টা গড়িয়েছে গণভবন পর্যন্ত।
অবসর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে তামিমকে গণভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।
শুক্রবার (৭ জুলাই) তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়
দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তামিমের গণভবনে যাওয়ার কথা।
তামিম-প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।
তামিমের আকস্মিক অবসরের সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
রাতেই জরুরি বৈঠক ডেকে তামিমের অবসর প্রসঙ্গে আলোচনা করেছে বোর্ড।
বৈঠক শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, অবসর ভেঙে দলে ফেরার জন্য তাকে অনুরোধ করবে বিসিবি।
বোর্ড সভাপতির এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই গণভবনে ডাক পেলেন তামিম।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল।
এদিন ১৮ মিনিটের বক্তব্যের শুরুতেই জনপ্রিয় এই ক্রিকেটার বলেন,
গতকাল (বুধবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ আন্তর্জাতিক খেলা।
আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিলাম।
এই সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি।
আমি গত কয়েক দিন থেকে এটা ভাবছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি।
আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার।
ভক্ত-সমর্থকদের পাশাপাশি মানতে পারছেন না বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও।
অবসরের ঘোষণার পরপরই তিনি বলেন,
তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে
দাঁড়ানোর ঘোষণা একদমই অপ্রত্যাশিত, যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
খুবই দুঃখজনক। আমরা এর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
তামিম ইচ্ছে করলে আরও ২ বছর অনায়াসে জাতীয় দলে খেলতে পারতেন।
তামিমের এই অবসর মানতে পারছেন না তার সাবেক-বর্তমান সতীর্থরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে।
তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও।
বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে তারকা এই ক্রিকেটারের বিদায়কে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।