ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানাধীন সুয়াবিল ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ উত্তর হাজিরখীল “কোদালিয়া পাড়া গ্রাম’। পাহাড় অার সমতলে সন্নিবেশিত এই গ্রামের চারপাশজুড়ে সবুজ শষ্য প্রান্তর, বনানী অার নিসর্গ ঘেরা ঘরবসতি। ঝোপ-জঙ্গলে আবৃত্ত গ্রামটিতে দিন দিন বাড়ছে মানুষের কোলাহল। এই পল্লীতে এখন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের বসবাস। কালের অার্বতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও পিছিয়ে রয়েছে এই গ্রামটি। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কোন খাতেই উন্নয়ের ছোঁয়া লাগেনি এই জনপদে।
এই অবহেলিত জনপদ নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বহুবার লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও কোন জন প্রতিনিধি এই গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করেননি। অথচ, স্থানীয় নির্বাচন আসলে এই গ্রামটির উন্নয়নে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পরবর্তীতে কসজের কাজ কিছু হয়নি। বারে বারে প্রতারিত হয়েছেন এই গ্রামটির সহজ-সরল জনগন।
গেল রবিবার ওই গ্রামটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ অাবু তৈয়ব। তিনি ওই এলাকার মানুষের সাথে একটি মতবিনিময় সভা করে তাদের অভাব-অভিযোগগুলো নোট করেন। এরপর তিনি এলাকাটির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে ওই এলাকায় একটি কাঁচা সড়ক ব্রিকসলিংয়ে উন্নীতকরণ, দু’টি কালভার্ট স্থাপন, স্থানীয় মাদ্রাসার সংস্কার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, সেনিটারী টয়লেট ও গভীর নলকূপ স্থাপনের আশ্বাস দেন।
এতে তাঁর সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ হোসেন তালুকদার, সংগঠক শাহজাহান, সাবেক ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদীন, মীর মোরশেদ, আক্কাছ আলী, সুমন সিকদার, পৌর কমিশনার মুহাম্মদ জয়নাল ও মুহাম্মদ এয়াকুব, অাশরাফ ইনু প্রমূখ।
এ সময় গ্রামের উন্নয়নে উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন মানবিক উদ্যোগের প্রতি সকলেই কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও, এই গ্রামটি পরিদর্শন করে উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন।