‘শার্লি এবদো’ ম্যাগাজিনের উসকানিমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য- বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি একসয়।
তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফ্রান্সসহ ইউরোপের ফ্যাসিস্ট ও বর্ণবাদী গোষ্ঠীগুলো মুক্তচিন্তার কথা বলে অন্যদের অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং ইসলামভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছে। গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতার কথা বলে মুসলমানদের প্রতি এ ধরণের অবমাননাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
এদিকে পাকিস্তান ফ্রান্সের মাগ্যাজিন শার্লি হেবদোতে নবীজি সা.-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ধৃষ্টতায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে । দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এমন ধৃষ্টতার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শার্লি হেবদোতে রাসূল সা.-এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে এবং মানুষ এতে ক্ষিপ্ত।শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে আপনার কাছে অন্যকে আঘাত করার লাইসেন্স রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) হজরত মোহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে আবারও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করেছে বিতর্কিত ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদো। ২০১৫ সালে যে কার্টুনগুলো প্রকাশ করেছিল সেগুলো আবার প্রকাশ করেছে তারা। মোট ১২টি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপা হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনগুলো ২০০৫ সালে ডেনমার্কের একটি পত্রিকা প্রথম প্রকাশ করেছিল। এরপর কয়েক বার শার্লি এবদো হজরত মোহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপায়। ২০১৫ সালে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানেরা বিক্ষোভ করেন।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা