রাত পোহালেই শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। তবে সমাবেশের আগের রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতের মতো শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতেও নেতাকর্মীরা সমাবেশের মাঠে অবস্থান করছেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতের তুলনায় শুক্রবার লোকসমাগম বেড়েছে।
এদিকে বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে শুক্রবার রাত থেকেই। এমনকি বরিশাল থেকে পার্শ্ববর্তী অন্য জেলা ও উপজেলায় কোনো ধরনের গণপরিবহনও চলাচল করছে না। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বরিশালের সব খাবারের দোকান।
যার ফলে মাঠের একাংশে চলছে রান্নার আয়োজন। দলে দলে ভাগ হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখর রাখছেন বঙ্গবন্ধু উদ্যান। অস্থায়ী মঞ্চ থেকে দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছেন।
পিরোজপুর বিএনপির এক নেতা বলেন, দমন, বাধা, অবরোধ এসব কারণে আমরা বিগত যে চারটি সমাবেশ দিয়েছি সেখানে সরকারের পেটুয়া বাহিনী, সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে মানুষ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল এবং একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারের কারণে সে বাধা, অবরোধ, প্রতিরোধ কিছুই টেকেনি। সরকারের সেই সব বাধা, প্রতিরোধ দেখে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে দুইদিন আগে এখানে উপস্থিত হয়েছি। যাতে করে সরকারের কোনো বাধা ও প্রতিরোধের সম্মুখীন না হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমদের খাদ্যদ্রব্য যা প্রয়োজন সব কিছু সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। এর কারণ বরিশাল শহরের সব খাদ্যদ্রব্যের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে লাখ লাখ নেতাকর্মী আসবে, তারা তো আর অনাহারে দিন কাটাবে না, তারা তো আর না খেয়ে দিন কাটাবে না। আমরা সেই সমস্যার মোকাবিলা যাতে করতে পারি, সেই সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় এজন্য আমরা সব খাদ্যদ্রব্য পিরোজপুর থেকেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।
এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লা (৬০) অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসে পৌঁছেছেন বরিশালে। অবস্থান নিয়েছেন গণসমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে।
তিনি বলেন, গাড়ি বন্ধ কইর্যা মোগো আটকাইয়া রাখতে পারে নাই, মোরা দুইদিন আগেই আইছি, এই সরকারের পতনের জন্য গণসমাবেশ সফল করতে অইবে।