গত পহেলা জুলাই খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে জড়িত সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে।
তবে তিনি এখন বলছেন, বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। পণ্যের ঘাটতি তৈরি হলে কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ এর উচ্চপর্যায়ের
একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় অবকাঠােমা ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের জন্য শুল্ক বাধা দূরের তাগিদ দিয়েছে।
২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশের কাতারে পৌঁছালে, শুল্ক সুবিধা উঠে যাবে।
তখন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বাজার সুবিধা দাবি করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বরাত দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজার বা সিন্ডিকেট ইস্যুতে
কোনো কথা হয়নি।
তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা একবারে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি।
সিন্ডিকেট নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরবেন- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
‘সেটাতো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিতো কিছু বলিনি।
এ ব্যাপারে আমি কী বলবো, উনি কী মিন করে বলেছেন সেটা আমি কী করে বলবো।
সেসময় কী সিচুয়েশনে বলেছেন।
‘যখন ক্রাইসিস শুরু হয় তখন ব্যবসায়ীরা সুবিধা নিলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরও বেশি ক্রাইসিস তৈরি
হতে পারে, সে কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না’- সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন,
‘আমি যে কথাটা বলেছিলাম, জেল-জুলুম এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে পরে…।
আমি সেটেল করছি আলোচনার মাধ্যমে, যেন এটা লজিক্যাল হয়।
হঠাৎ করে জেল-জুলুম দিলে পরে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আমি এটাই বলেছিলাম।
তবে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই।’
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না।
যখনই পণ্যের দাম বাড়ায়, তখনই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়’।
