আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র বলছে, বিএনপির যে শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাঁদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ এতটা বিরূপ নয়। তাঁদের ক্ষোভ মূলত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।
বিএনপির নেতাদের এটাই বোঝানো হবে যে তারেক রহমানের কথা শুনলে তাঁদের রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ নেই।
আর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলে এবং গ্রেপ্তার–আতঙ্কে অন্যরা আড়ালে চলে গেলে কর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়বেন। এর মাধ্যমে বিএনপিতে তারেক রহমানের কর্তৃত্ব খর্ব করতে চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে দলটির রাজপথের নেতা-কর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিয়ন্ত্রণে।
আর তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে অনড়। তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে সরকারের পতন আন্দোলনে মরিয়া করে তুলেছেন মাঠের কর্মীদের। এ জন্য তারেকের নিয়ন্ত্রণ খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনৈক্য, মতবিরোধ আছে। এই সুযোগে তাঁদেরকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তারেক রহমান থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে দলের ভেতর থেকে একটা অংশ দলছুট হয়ে নির্বাচনে যাতে অংশ নেয়, এমন একটা চেষ্টাও রয়েছে ক্ষমতাসীনদের।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বিএনপির গ্রেপ্তার নেতারা কখন ছাড়া পাবেন, তা দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।
প্রথমত, তাঁরা তারেক রহমানের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করলে দ্রুত ছাড়া পেয়ে যাবেন। এর বাইরে দেশি-বিদেশি নানা তৎপরতার ওপরও নির্ভর করতে পারে।
আওয়ামী লীগের ওই নেতা আরও বলেন, বিএনপি থেকে কিছু নেতা ভাগিয়ে আনতে পারলে তাদের আন্দোলনের মিত্রদের মধ্যেও কেউ কেউ চলে আসতে পারে।
ইসলামপন্থী যেসব দল এখনো ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে পাকা কথা দেয়নি, তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়াও সহজ হবে।