পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্য দিয়ে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালালো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সকাল থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে সিটি করপোরেশন দুপুরের দিকে এই অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশা বহির্ভূত ৯১১টি দোকান উচ্ছেদ করতে ডিএসসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এবং তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে মার্কেটটির ব্লক-এ, ব্লক-বি এবং ব্লক-সিতে অভিযান পরিচালনা করতে যান সিটি করপোরেশন।
এসময় এই উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে রাস্তায় অবস্থান নেন দোকানিরা এবং এই উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা গুলিস্তানের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে দোকান উচ্ছেদ এর প্রতিবাদ করছেন। গুলিস্তান সুন্দরবন মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দুই-তিনটি বাসে ভাঙচুর চালায়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা সেখান থেকে সরে আসেন।
এমন অবস্থায় বেলা পৌনে একটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে মার্কেটের নগর প্লাজার সামনের ফুটপাতে থাকা একটি দোকান ভাঙা শুরু করা হয়। এতে ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়েন দোকানিরা। তাঁরা চারপাশ থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ তিনজন আহত হন। শুরুতে পুলিশ পিছু হটে। পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে পুলিশ।
তারপরও ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। দোকানিরাও সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। এমন অবস্থায় ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কয়েকজন দোকানির সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সময় নকশাবহির্ভূত এসব দোকান বৈধ করতে তাঁরা লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন। দোকানগুলো থেকে ডিএসসিসি এত দিন ভাড়াও নিয়েছে। এখন কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকান উচ্ছেদ করার জন্য এসেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।