বিটুমিনের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ শতাংশ প্লাস্টিক-পলিথিন মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করলে তা টেকসই, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হবে। সেই সঙ্গে সড়কের স্থায়িত্বও বেড়ে যাবে। ফলে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কমে যাবে।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন বক্তারা। চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘পলিথিন বর্জ্যের কারণে পরিবেশ দূষণ ও বিরূপ প্রভাব এবং রাস্তা নির্মাণে বিকল্প ব্যবহার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পিয়াল বড়ুয়া ও আল আমিন। এ গবেষণার তত্ত্বাবধান করেছেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার পালিত।
সংবাদ সম্মেলনে পিয়াল বড়ুয়া বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক। একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এক কিলোমিটার দীর্ঘ ২ লেনের রাস্তার প্রতি লেনের প্রস্থ যদি ৩ দশমিক ৫ মিটার এবং এসফল্টের পুরুত্ব ৭৫ মিলিমিটার হয়, সেখানে বিটুমিনের সঙ্গে যদি সাড়ে সাত শতাংশ প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রতি কিলোমিটারে সাড়ে ৪ টন বিটুমিন সেভ করা যাবে। এতে সাড়ে চার টন প্লাষ্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করা যাবে। এভাবে সাড়ে চার টন প্লাস্টিক বর্জ্য কমানো সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সাড়ে চার টন বিটুমিনের খরচ বেঁচে যাবে। এর ফলে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে ব্যয় হ্রাস পাবে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বেশি। প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য যদি রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা যায়, তাহলে পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক কমবে।